তারপর কত বিকেল ঝরে গ্যালো নিঃশব্দে নিরালায়,
হাহাকার অন্তরীক্ষের ভিতরে বাহিরে মর্মর।


কত আষাঢ়ে প্লাবন ভেসে গ্যাছে অজানায় নিমিষে,
থৈ-থৈ করে মাঠ ঘাট করে খাল বিল দুরন্ত জোয়ারে।


কত গোধূলির অন্তিমে স্মিত প্রভা হয়েছে ধূসর,
বিবাগে অনুরাগে কত প্রাহ্নে নিভেছে সদ্য খোয়াব।


কত সন্ধ্যা অগ্নি মুখরিত গুঞ্জনে হয়েছে দহন,
বিষম চাওয়ার একান্ত পাওয়াই পড়েছে মৃত্যুর আচড়।


এত এত জীবনের বিবিধ অধ্যায় নিশ্চিহ্ন হতে হতেই,
কামনার বর্ণীল রাত্রিগুলো যেন হয়ে উঠেছে আরও যৌবণা।


নেত্রপাতায় প্রত্যাশার অপূর্ব  সমাধি তবুও ,
স্নিগ্ধ উল্লাসগুলো উদ্দীপ্ত প্রাঞ্জল পৌরুষের সংজ্ঞায়।


এভাবেই কত শ্রবাণ ভিজে বসন্তের প্রৌঢ়তা ঘনেছে এদ্বারে,
তবু মিলেনি ক্ষুধিত প্রাণের মৃত্যুহীন প্রেমের বিমল সুধা।


তবে এ ক্যামন অনন্ত বিষাদের বিরহে অমোঘ ক্লেশ,
তবে এ ক্যামন আঁধার পাড়ে নিকষ মৃত্যু মৃত্যু খেলা।


বলো হে তুমুল প্রতীক্ষার সারমর্ম তুমি আমার,
বলো অনন্ত কামনার সীমাহীন অনুদ্ভিন্নযৌবণা আমার!


রচনাকাল-
2015.Oct.23_01.10 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।