খুব ঘোর সুশান্ত বাতাসের দাবানল,
মিলিয়ে যায় অসীম বর্ণচ্ছটা নীরদগুচ্ছ।


ধূমিকার সুবিমল আস্তরণে মিলনের আশ্বাস,
শিশিরের ফোঁটা বয়ে আনে নিষ্কলুষ কামনার প্রবাহ।


প্রতীচীর বিকল জানালায় সচল ডাহুকের আনাগুনা,
বিনিদ্র বিরাতের চোখে ফুটে উঠে দীর্ঘশ্বাস।


বলো রজনীর গভীরতা কতটুকু গড়ালে বিবর্ণতায় ধূসর নিদারুণ,
দূরত্ব করে বিদীর্ণ হয়ে আসবে অপ্সরী কোন জোরালো চাওয়াই।


এই মধ্য রাত্রির বুক চিরে যদি নেমে আসে প্রণয়ের সুর,
তবে অভিমানী তুমি তবুওকি রইবে সুকঠিন বধির?


সুশান্ত বাতাসে বর্ণচ্ছটায় নীরদের বন্ধন,
ধূমিকার চলনে শিশিরের শুভ্র আহ্ববান।
সবই তীর হারা উল্লাসে উন্মুখ তোমার প্রতীক্ষায়।


এসো চলে প্রিয় খুব করে অনন্ত এই লয়ে,
দিবারাত্রির খোলসে বেলা যায় বয়ে যায়…


রচনাকাল-
2015.Oct.22_02.00 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।