মাত্র উপোসের হিমায়িত হাহাকার থেকে বের হলাম,
কর্ণের ছিদ্রে ঠাসা সেই আর্তনাদ বেজেই যাচ্ছে ক্রমশই।


ক্ষুধার নির্মোহ রাজ্য পরিভ্রমণ করে আসতেই,
ফেলে যাওয়া সভ্যতা এগিয়ে গেছে আরো এক শতাব্দী।


পৃথিবীর দূর্গম ও প্রাচীন রাজ্যে দেখেছি বিবেদ নেই,
আধুনিক শৃঙ্খলের বাইরে এসব মানব-মানবী বুভক্ষু দারুণ।


শূণ্যতায় ঝমঝম আওয়াজ নাচিয়ে তারা বসে থাকে,
ক্ষুধার পসরায় অপেক্ষমান হয়ে যুগ থেকে যুগান্তর।


অবিনাশী সেসব ক্ষুধার সাম্রাজ্যে নিপীড়িত পাকস্থলি,
মর্মর করে ঝরে যায় প্রতীক্ষমান অন্নের নিশ্চিহ্নতায়।


নীলচে তাড়নার প্রকট কাতরতায় বাতাসে মৃত্যুর সয়লাব,
শূণ্যে ফিকে হয় অনাহারে উন্মত্ত বিভোর প্রশ্বাসমালা।


এখনো তৃষ্ণার বেঘুরো শুষ্ক দাগে দাগে,
মিশে আছে সদ্য চির নিদ্রা যাওয়া দেহবশেষের আকুলতা।


হে যামিনীর মহাকাল; কসম শপথ তোমার,
পড়ে থাকা ওসব নিথর প্রাণের মৃত্যু; আমায় অপরাধী করে দেয়।


আমি ধরণীর যাবতীয় ঘৃণ্যতার অতলে চাপা পড়ি নিদারুণ,
আর অপরাধীর অকল্পনীয় ভারে ন্যুজ্ব হয়ে পিশে যায় আত্মদন্ডে।


এভাবেই এক বিভীষিকাময় প্রান্তর পেরিয়ে আমি ক্ষত বিক্ষত হই,
এবং চুড়ান্ত উপসংহারে হয়ে যায় সভ্যতার অভিশপ্ত এক কীট।


রচনাকাল-
2015.Oct.14_12.45 রাত্রি।
টেকনাফ, কক্ִসবাজার।