পশ্চিমে হেলানো অবস্থায় উর্ধমুখি হয়েই ক্রমশই,
যাচ্ছে মিশে আটলান্টিকের গহ্বরে আমাদের প্রিয় রাত্রিগুলো।


শীতের আসন্ন পিঠাপুলির সুঘ্রাণ মেখে,
আয়োজিত হচ্ছে হারানো অতীতের যত মধুসংলাপ।


ধূমিকার অবিচ্ছিন্ন অস্ফুট আস্তরণ চিড়ে,
গুটিসুটি মেরে বসে যাচ্ছে দুচোখের ভাষার পসরা।


সুপরিসরে উড়ে যাচ্ছে অরুণোদয়ের পরে ম্রিয়মান হয়ে,
শীতার্ত বার্তার আবহমান যত বর্শা বল্লমের কনকনে আঘাত।


প্রিয় রাত্রিগুলোর ভিতরে এত এত জ্যান্ত প্রত্যাশার ফোয়ারা আর,
মধুসংলাপ, চোখের ভাষা ও হিম ঠান্ডার তীব্রতা ছিলো;
জানতো না তা স্বয়ং আটলান্টিকও।


আজ অনিন্দ্য সূর্যদয়ের পরে বহুল অপেক্ষা শেষে,
আর্তনাদ করছে তুমুল রাত্রিগুলো ফিরিয়ে দিতে কোন বিনিদ্রপ্রাণ।


মুক্তির কোরাস গেয়ে উঠো আটলান্টিক তুমি একটিবার,
অতঃপর করে দাও অবমুক্ত নিমজ্জিত সেসব প্রিয় রাত্রি শত।


রচনাকাল-
2015.Nov.10_02.30 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।