কে তুমি হে?
এ ক্যামন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হও, আপতিক পরিযায়ী!
সুপ্তে লালিত কামনার প্রাচীর উপড়ে, আনো অগ্নি ছোবল।
পথে পথে জ্বালাও বিরহের দাবানল, আকস্মাৎ প্রলয়।
কোথা যাও বিচূর্ণ করে, উৎকৃষ্ট মননের প্রেম?


আমিতো বিরান পথের ছন্নছড়া নই,
নই অগত্যা ছুটে আসা ঝড়ের তীব্র আঘাত।
আমি সহস্র সভ্যতার জিইয়ানো এক পৌরুষ।
এই পথে চেয়ে আছি অনন্ত অনাদি;
যে পথ তুমি এক্ষুনি করে গ্যাছো বিধ্বস্ত মরুচর।


কে তুমি হে?
থামাও অস্ত্র তোমার।
সুশান্ত মহীরূহের করতলে এসো; জিরোও স্পন্দন।
যদি ফরমাও ভিতরে ঢুকার রাজিনামা;
তবে ঢুকি তোমাতে।
অগ্নি প্রলয়ের ভাঁজ খুলে,
একটু ছুঁই তোমায়; তাকাই খানিক।
পরখ করে দেখি বিধ্বংসী মানবীকে,
কতটা শান্ত, কতটা প্রেম গুপ্ত আছে রাখা, ওই টইটুম্বুর বুকে।


কে তুমি হে?
এত এত কাঙাল কিসে তুমি?
এত প্রেম সম্ভারে সম্ভ্রান্ত তবু!
কেনো এত হাহাকার, এত বিরহের কদাকার?
এ যে ঢের অন্তহীন অস্পর্শের বিরল উপমা হে তুমি।


এসো, নত হও এই পৌরুষের অটুঁট প্রেমে,
বিলিয়ে দাও সমস্ত ক্রোধের অবিরাম জ্বালা মুখ।
মেখে নাও প্রশান্তির ডালি ডালি প্রলেপ,
স্পর্শে ব্যাকুল ওই বুকের রুমালের পরতে পরতে।


এসো, নত হও, মিশে যাও;
সমর্পিত হও, এই কামনার রণক্ষেত্রে।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2016.Mar.21_02.00  মধ্যাহ্ন।