খুব বেশি মনে পড়ে গ্যালো, রূপন্তী রু।


তেত্রিশশত শতাব্দির বিগত রাত্রিগুলোর মত নয়,
হঠাৎ আজ এই হিমশীতল রজনীর পাড়ে; তোমায় মনে পড়ে গেলো।


অনালাপহীন বহু বহু কাল পরে এসে নেত্রের দ্বারে,
অশ্রুঞ্জলীর শিশির ফোঁটায় আচমকা; মনে পড়ে গেলো তোমায়।


মর্মর ঝরে পড়া ব্যাথার লহরীতে তালহীন সুরের ব্যাঞ্জনায়,
বেড়ে উঠা নৈঃশব্দের ঝিমঝিম অরণ্যে; পড়ে গেলো মনে তোমায়।


খুব বেশি মনে পড়ে গ্যালো তোমায়, রূপন্তী রু।


তীব্রতর দূরত্বের ইন্দ্রজালে নির্বাক স্বপ্ন কুটিরে,
এঘর ওঘর রুদ্ধ জানলার শিকের প্রাচ্যে; মনে তোমায় পড়ে গেলো।


আঁধারে বিলাপ শুনে শুনে জমে উঠা একাকীর তানপুরায়,
কম্পনহীন নিস্তব্ধতায় ভীষণ; তোমায় মনে পড়ে গেলো।


বিরাতের ছায়া আকড়ে জ্বলে উঠা সোডিয়ামের হলুদে,
বিরান সভ্যতা পড়ি দেওয়া ল্যামপোষ্টের রঙে; মনে পড়ে গেলো তোমায়।


রূপন্তী রু,
খুব বেশি মনে পড়ে গ্যালো।


রচনাকাল-
2015.Dec.21_12.40 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।