প্রত্যাশায় জিইয়ানো স্বপ্নের বিশুদ্ধ পথে,
এগিয়ে যেতেই ঢুকে পড়ি প্রাচীণ মহীরূহের অরণ্যে।


নৈসর্গিক বারতায় ক্রমশই মিশে যায় পদাঙ্ক,
পূবালী হাওয়ার স্রোতে ভেসে যায় স্বপ্নের অনুশীলন।


বিস্তৃত অপরাহ্নের পরে ফের আয়োজন করি আলাপনের পসরা,
বিমুগ্ধতায় নামিয়ে আনি অন্তর আত্মার সমন্বয়ে গোধূলি।


শীতার্ত নীরদের প্রবাহে জমে উঠে ধীরলয় সন্ধ্যা,
চোখে চোখ রাখতেই অনালাপে ক্ষয়ে যায় কথনের কাল।


আধেক পথিক হয়ে স্বপ্নের পথে ডুবে আসে রাত,
আর প্রত্নতাত্ত্বিক বৃক্ষের অরণ্যে হয়ে উঠি আমি রাজবন্দী।


ঝিম ধরা আরণ্যক ঈগলের পেখমে বেঁধে দেই চিঠি,
লিখে দেই বিশুদ্ধতার স্বপ্নীল পথে বন্দীর সভ্যতা।


অস্পর্শে মাতোয়ারা মরমে জেগে উঠে প্রলয়,
বিপ্লবের রূধিরাক্ত আলোয় রাঙিয়ে নিই প্রভাত।


সহস্র রাত্রি শেষে আদিমতায় জন্ম নিই বন্দীর বাইরে,
চুড়ান্তে আত্ম চিত্রিত করতেই দেখি নিজেকে; আসহাবে কাহাফ।


এবং অতঃপর,
ফের ছুটে চলি আমি মানব হয়ে,
সেই স্বপ্নের পথে পথে নিদারুণ।


রচনাকাল-
2015.Dec.26_01.30 রজনী।
অপরাজিতা, বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।