কলংকিত আঁধারের পরে এসে উদ্ধাস্ত এ শহর,
হয়ে আছে সোডিয়ামহীন অসভ্য কংক্রিটে বিবস্ত্রের বহর।


উত্তপ্ত বিনিদ্র কোন চোখের অবয়বে কাঁদে নগরীর অঙ্গন,
রঙচকা সহস্র এ ধরণীর সাম্রাজ্যে হারায় সে নির্মম ক্রন্দন।


অনাবিল কথোপকথনে ব্যতিব্যস্ত অলিগলির ঘাটে,
জমে উঠে মানুষ্যের নিষিদ্ধ উষ্ণতার হাটে।


এই শহরের বুকে মিশে গেছে দ্যুতিহীনের অমরত্ব,
বিস্মিত রূঢ়তার আভায় ফ্যাকাশে তার দৃষ্টি গোলকরত্ন।


আজি এ নগর ভরে নেই হৈ-রৈ অপত্যের স্বচ্ছ জয়োল্লাস,
পথিকের পথে নেই সাদর সম্ভাষণী বরণ উচ্ছাস।


এ শহর যেনো আজ সন্ত্রস্ত ভীত রজনীর মরু আগ্রাসন,
এ নগর যেনো শুধু নিকষ বেদনার তুমুল আহরণ।


আমি বীষম চিত্তে শহরের তটে দেখি মাথা গুজে ঠায়,
কেবলই বিদীর্ণ সুখের ব্যবচ্ছেদের বিমর্ষ ছবিটায়।


আমি নগরের আত্মায় কান পেতে শুনি,
পিশাচী দামামার নিদারুণ বিধ্বংসী সুরঞ্জনী।


রচনাকাল-
2016.Feb.12_03.10 রজনী।
জেলা পার্ক ষ্টেডিয়াম, হলিডে মোড়, কক্ִসবাজার।