তারপর আকাশ দেখবোনা অনন্ত।
রাত্রিমালা চোখের জ্যোৎস্নার তৃষ্ণায়,
হয়ে উঠবে একেকটি যাতনার দীর্ঘ প্রলয়।


এভাবেই আর পাহাড় চষবোনা দুরন্ত।
সোদা মৃত্তিকার গন্ধে মাতাল বনে যাবে,
চিত্রা হরিণীর ন্যয় ধাবমান সবটা জলপ্রপাত।


হঠাৎ আচমকা টেনে দিবো দখিনা জানালার পর্দা।
সুশোভিত পূবনের উপাখ্যান বিলুপ্ত হতে হতে,
নিষ্প্রভ তুমুল এক গহীন রাজ্যে তলিয়ে যাবে মনজানালা।


মরমের ব্যাঞ্জনায় গেয়ে যাবে একাকীর গীত রাত্রির ডাহুক।
বিনিদ্র তপ্ত নিদ্রার প্রান্ত জন্ম নিবে মরুদ্যান,
যে মরুচরের মরিচিকায় বিষিয়ে দেখবো হারানো আকাশ।


অদ্ভুত একদিন ভুলে ফেলবো স্বচিত্তের ঠিকানা।
উদ্ভ্রান্ত হৃদয়ে সুনিবিড় হয়ে যাবো যাযাবর,
শঙ্কিত করুণ জীবনের হুইসেল মূর্ছা যাবে আত্মঘাতে।


অতঃপর পণ করে করেই নির্ঘাত আত্মপ্রবঞ্চনায়,
আকাশ দেখবোনা অনন্ত অনাবিল…


রচনাকাল-
2016.Feb.24_11.50 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।