রাত্রিঘন আকাশের বুকে,
হাঁটিয়েছি পৃথিবীর তারা।
স্রোতাস্বীনি নদীর মোহনায়,
ভাসিয়েছি সিন্ধুর ধরা।


সটান পর্বতের চূড়া বিন্দুতে,
তুলিয়েছি পাহাড়ের দৈর্ঘ।
উচ্ছ্বল প্রপাতের পতন রাশিতে,
মিশিয়েছি বিচ্ছেদের অর্ঘ্য।


উড়ে চলা তুষারের খন্ড কণায়,
জুড়িয়েছি হাওয়ার হিম বান।
গলিত বৃষ্টির জমাট মেঘে,
জমিয়েছি বজ্রের তুফান।


সিক্ত হলুদ সোডিয়াম প্রভায়,
রাখিয়েছি একাকীর জ্বালা।
মুক্ত করুণ নিশ্চল পথে,
রাঙিয়েছি বিরহের বেলা।


বিনিদ্র রজনীর গহীন গতরে,
পরিয়েছি মৃত্যুর শেকল।
আসন্ন ভোরের অস্ফুট লগনে,
জ্বালিয়েছি হত্যার অনল।


ধাবমান ক্ষণের মহাকালে,
পুষিয়েছি যাতনার সুচিহ্ন।
অন্তিম বিলুপ্তির তীব্রদ্বারে,
করিয়েছি স্বচিত্তের নিশ্চিহ্ন।


অন্তর মম আপনো অতলে,
ভাঙ্গিয়েছি দিব্য হৃদয়।
শেষোক্ত প্রণয়ের নিকষ খাঁজে,
ডুবিয়েছি প্রাণের প্রলয়।



রচনাকাল-
2016.Feb.26_01.00 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।