আমি ভুলেছি আপনতর কণ্ঠস্বর।
ভুলেছি রক্তের ঐতিহ্যের গতিপথ।
ভুলে ভরা আঁধারপুঞ্জী বুকে পুষে,
হয়েছি নব্য সংস্কৃতির খদ্দের।


তীব্রতর ঝাঁজালো রঙের অতলে হেরে,
আমি তুলে ধরি সুশ্রী ফ্রেমে অপবাদ।
বয়ে চলি আট্টালিকার অসভ্য কুসংস্কার।
শত সহস্র ক্ষুধা পিষ্ট করে হয়ে উঠি আধুনিক।


আমার অধরোষ্ঠে লেগে থাকে ভ্রষ্ট পরাগ।
অক্ষির ডাগরে রোপি আত্মদাম্ভিকতার পাপড়ি।
সাজ সাজ রবে বৈষম্যের বর্ত্মায় হয়ে উঠি মিছিল।
আর খোলস জড়িয়ে বেমালুম ধরে উঠাই,
মঙ্গলের প্লেকার্ড।


আমি আরও ভুলে আছি সুস্পষ্ট স্ব-ইতিহাসের পাতা।
গর্ভস্থ মাতৃকার মুখপুড়ে খ্যাতি কুড়াই বীরবিক্রম।


আমি এক দিবার সীমায় জন্ম নিই বিকৃত জাতীয়তাবাদে।
আমি বীভৎস অন্ন আহারে ছিড়ে চলি নিদারুণ আত্মপরিচয়।


আমি পৈশাচিক উল্লাপনায় মেতে উঠি প্রাঞ্জল,
আর ক্রমেই শত ট্রাজেডি চাপা দিয়ে লিখি ভ্রান্ত পরিচয়।


আমি ভুলেছি আপনতর কণ্ঠস্বর।
ভুলেছি রক্তের ঐতিহ্যের গতিপথ।
ভুলে ভরা আঁধারপুঞ্জী বুকে পুষে,
হয়েছি নব্য সংস্কৃতির খদ্দের।.


রচনাকাল-
2016.Apr.16_12.40 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।