তুমি বরং যামিনীর অতলে প্রদীপ জ্বেলে রও,
যখনই বিরহ অনল ফুসে উঠবে তখনই নিভাবে আবার।
.
আমার আগমনের পথচেয়ে পদধ্বনি মেখে মেখে,
তুমি বরং হয়ে উঠো সব্যসাচি আঁধারের বালিকা।
.
যদি বিরহডোরে প্রলয় উঠে চূর্ণ করে ধুক্ִধুক্ִ বুক,
তখন বিষম অক্ষিদ্বয় বিনম্রে পেতে দিও আমার পথে- পথে।
.
বুঝো, বুঝে নাও-
আমাদের দূরত্ব বলে ইতিহাসে নেই কিছুই।
যা আছে বলে সহসায় মেনে নিয়েছো অশ্রুজলে,
তা কেবল সভ্যতার বিভ্রম মরিচিকার সারমর্ম মাত্র।
.
তোমাতে প্রতিনিয়তই শ্রবণ বাজে অশ্বক্ষুরধ্বনি,
যে অশ্বের সওয়ারী কেবল অনুগামী হয় তোমাতে।
.
সময়ের সুতোয় প্রতীক্ষা বেঁধে জড়ো করো সুসময়,
দূরত্বহীন বিয়োগের অন্দরে মিলে যাবে স্পর্শপাত।
.
তুমি এভাবেই প্রাণের বীণায় আলো রেখে রেখে,
প্রসন্ন করো কামনার প্রলম্বিত দীর্ঘ যাত্রাক্ষণ।
.
আমি বিষাদ ছেকে ছেকে সুতীক্ষ্ন গন্তব্য পানে,
অমৃত চাহনীতে ছুঁয়ে দিয়ে গড়বো তোমায় আমার-
চন্দ্রাবতী প্রণয়িনী।


2016.Jun.13_01.40 রজনী।.