তোমাকে দেখবো বলে
ভেঙ্গেছি বিশ্বস্ত রঙ
প্রলয়ের প্রাদুর্ভাব ছুড়ে
এনেছি রক্তকরবী


তোমাকে দেখবো বলে
বিচূর্ণ সন্ধ্যায় দিয়েছি সাঁঝ
উত্তাল বজ্র ডিঙিয়ে
গড়েছি বর্ষামগ্ন রাত
|
তবো দেখোনি আমায়
নিঃশ্বাসের ভিতের প্রশ্বাস
অগ্নিপোষা দুঃখ সমর
কী নিকষ একাকীত্ব


দেখোনি আমায় খুউব
বেদনার মূর্ত হাহাকার
জমানো নীলের গাঢ়তা
বিক্ষত হাতের স্পর্শপাত
|
আমাকে দেখবে বলে
দীঘল রজনী হাতে
বোসেছিলো এক নক্ষত্র
তপ্ত আলিঙ্গন জড়িয়ে


দেখবে বলে আমাকে
আশার নিটোল গহীনে
জন্মেছিলো এক বৃক্ষ
মুমূর্ষু পর্বতের মাঝবুকে
|
অথচ—
কী অদ্ভুত পরিক্রমা
তোমাকে ছোঁব বলে
অবিনশ্বর করেছি হৃদয়
ভুলেছি যাতনার প্রকোপ


তোমাতে গড়বো বলে
ভেঙ্গেছি সময়ের মহাকাল
বুনেছি প্রতীক্ষার যাপন
মুছেছি ক্লেশের যতিচিহ্ন
|
তব দেখোনি আমায়
আমার সমস্ত আয়োজন
নক্ষত্রের কাতর অনুনয়
বৃক্ষের ক্রন্দিত নতমুখ
|
হোক তবে না দেখেই
কেটে যাক সহস্র বসন্ত
অনাবিল আষাঢ় শ্রাবণ
দ্রোহের অসীম যত রাত


না ছুঁয়েই হয়ে উঠি তবে
বিতৃষ্ণ নর-নারী দু'জনা
বেদনার উৎকৃষ্ট রসায়ন
বিরহের জমকালো ফোয়ারা


১৯০৬১৪১০২২