মসজিদ থেকে সন্ধ্যার আযান শোনা যায়,
ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মসজিদে ছুটে যায়।
হিন্দু বাড়ি থেকে শঙ্খের আওয়াজ আসে,
বৌদ্ধ মন্দিরে সুরেলা সুরে প্রার্থনা ভাসে।
প্রকৃতি ক্রমশ নিস্তব্দ হতে থাকে,
সূর্য্যের দাবদাহ থেকে পরিত্রান পেয়ে শান্ত হতে থাকে ধরণি।
উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ ক্রিয়া বন্ধ হয়, বৃদ্ধি পায় শ্বসনক্রিয়ার হার।
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকের শব্দ বৃদ্ধি পায়,
নিশাচর প্রানীরা ঘর থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেয়।
জোনাকির আলো দৃশ্যমান হতে থাকে,
দৃশ্যমান হতে থাকে আকাশের অগণিত তারকা।
নিস্তব্দতার সাথে তীব্রতর হতে থাকে সাগরের গর্জন।
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে সবাই ঘরে ফেরায় ব্যাস্ত।
পাখিরা তাদের নিড়ে ফিরে, কিচির মিচির বন্ধ করতে থাকে।
সবারই নিজ ঘরের প্রতি প্রচন্ড একটা টান থাকে,
বাসায় যাওয়ার পথটা যেন শেষ হতেই চায় না।
কোথাও আড্ডা বাড়তে থাকে চা এর দোকানে ,
কোথাও বা আড্ডা বাড়তে থাকে পানশালাগুলোতে।