চোরাগলি আর রাজপথের ঘ্রাণ এক নয়,
দুজনের মাঝখানে এক একটা প্রজন্মের ব্যবধান,
সিমেন্ট বেয়ে বেয়ে ওঠা এই শীতের সকাল,
সকাল থেকেই চোরাগলিতে খুঁজে ফেরে আনন্দাশ্রু,
আর চোরাগলি চুমু খায় রাজপথের পায়ে;


একজন বাসাযাত্রীর শরীরে শীতাতপ আভায় রোদ ওঠেনা,
পথচারীদের বুকের ভেতরে কেমন শীত শীত করে,
নোংরা কাঁথা মুড়ি দেয়া পাগলটাকে দেখে,
পা থেকে মাথা তক বৈষম্য, এ ঢাকে তো ও ঢাকেনা,
আধুনিক বৈদ্যদের শল্যবিদ্যায় ভাটা পড়েছে,
ঘুম পাচ্ছে রোগিণীর, অথচ গতকালও পেটের ভেতরে
আস্ত একটা টিউমার নিয়ে ব্যথায় করেছিলো চিৎকার,


চোরাগলিতে প্রেম হয়, কান্নারা রোল দিয়ে করে যায় ব্যাঙ্গ,
রাজপথে পকেটমারদের শ্যেন চোখের চারপাশে যে,
রাত্রিজাগরণের কালি, ----সেই কালিতে কাজল পরায়
মেথরপট্টির সুদর্শনা, গতরাতে বাংলা মদের আসরে,
কাপড় ছিলোনা তাঁর গায়ে, তাঁর উরুতে ছিলো কালো দাগ,
দাঁতের, সেই দাগ ঢেকে নরম সিল্কের শাড়িতে যৌবন ঢেকে রাজপথে নামে উন্নাসিক আধুনিকা,
তাঁর কড়ে আঙুলে বাড়ির বাবা আর মা ঝুলে থাকেন,

চোরাগলি আর রাজপথের শরীর এক নয়,
ডাস্টবিনে কাকের লড়াই, পিচিক করে ফেলা থুতু,  
সাথে দাঁতনের দিকে তাকানো বিরহী ভোরের মত একা,
একাগ্রচিত্তে দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের ইমাম,  
----------চোরাগলিতে হিসেব করে বেহেস্তের,
আর রাজপথ একাকী, নিঃসঙ্গ সংশয়ে বিক্রি করে যায়,
----আখের সরবত, ঠান্ডা বরফে...
বেহেস্ত নেমে আসে তপ্ত পীচে!