পোশাক দেখলে মাংস দেখতে পাবেন,
মানুষ দেখতে পাবেন না।
আরে দাদা, আদিম মানুষ উলঙ্গ থাকতো,
তবু তারাও উন্নতি করেছে,
জঙ্গল ছেড়ে গুহায় এসেছে,
আগুন-চাকা হয়ে আধুনিক হয়েছে।
শুধু পোশাক দেখলে হয় না।
ওই মেয়েগুলো আর যাইহোক কেউ বেশ‍্যা নয়,
বেশিরভাগই সরল, সাধারণ,
জাস্ট তারা বড়ো পোশাকে স্বচ্ছন্দ নয়, এইটুকুই!
তবে এই মেয়েরা প্রতিবাদী, এরা শক্তিশালী
তাই একটু আঁচে তো পুড়বেনই আপনারা
কারণ আপনাদের তো নরম শরীর দেখা অভ‍্যেস!


আগের ক'জন মেয়ে বাঁচার মতো বেঁচেছিল?
কুলবধূর বেশে কঙ্কাল ছিল তারা।
আর কতদিন শুধু একটা সীতার আড়ালে
অসহায়া নির্যাতিতা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি
বাচ্চা প‍্যায়দা করার মেসিনকে আড়াল করবেন?
এবার এ দূর্বলতা ত‍্যাগ দিন।


এখন মেয়েদের উন্নতি দেখুন!
এরা সীতার অগ্নিপরীক্ষার আগুনের সেই আঁচ
এরা সতীদাহের আগুনের সেই আঁচ
এরা বউপুড়ানো আগুনের সেই আঁচ
এরা রান্নাঘরের আগুনের সেই আঁচ
এরা সেই অগ্নির আঁচ যেখানে দুর্গার জন্ম!
আগুনের ছাঁচে জন্ম এদের,
এরা অগ্নিকন‍্যা হয়েছে আগুনে পুড়ে পুড়ে!
স্বাধীনতা নারীরও জন্মগত অধিকার!
এদেরকে এদের মতো ছেড়ে দিন,
না ছাড়লে এরা ছিনিয়ে নেবে,
এরা ঠিক এদের উন্নতি বুঝে নেবে!
বুঝে নিচ্ছেও,
ধরে ফেলেছে পুরুষের অধিকার করার ছল!
জানি, এরা সবাই ভালো নয়,
আইনের ফাঁকে ফায়দাও লোটে কেউ কেউ,
খারাপ কাজও এরা করে,
তবুও সামগ্রিক ভাবে মেয়েরাই ভালো
এবং দেশের জন্য একালের মেয়েরাই ভালো!
এই শুরু, তাই ভুল ভ্রান্তি কিছু হবে।
কিন্তু ধীরে ধীরে সব ঠিক হবে।
মিথ্যা আশা নয়, এটাই সত্যি।
আজ জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে
আমাদের সাথে সাথে, আমাদের---
মা-বোন-বউ-মেয়েদেরও জয়ধ্বনি উঠছে
এ তো আমাদেরও গৌরব!


একটাই তো মাত্র নারী ছিল আপনাদের
কিন্তু সেই সীতাকেও তো অগ্নিকুন্ডে ঠেলেছেন!
এরা কিন্তু সীতার চেয়ে অনেক ছোট,
কিন্তু সবে মিলে এক সীতার চেয়ে লক্ষগুণ বেশি।।