একটা সময় তোরে আমি দেবদূত ভাবিতাম
বুকের মাঝে সুখের দিনের স্বপ্ন পুষিতাম
তোর ভাষণ শুনে মনের মাঝে আঁকিবুকি আঁকতাম
তুই হাত নাড়লে মনে মনে তোরই যে হইতাম!


তোরে দেখতে সবাই বাসে করে অনেক দূরে যায়
এখন মন্ত্রী হয়ে তুই আর মোদের দেখিস নাই
ওরে যতন করে বসতে তোরে মাদুর দিলাম রে
তুই যা রে যা আপন পকেট ঘর গোছাতে!


ও নেতারে নেতারে তুই অপরাধী রে
আমার যত্নে আঁকা আশাগুলো দে ফিরায়া দে
ধর্মের অনুরাগের সাথে খেলার অধিকার দিল কে
নেতা,তুই বড়ো অপ‍রাধী তোর ক্ষমা নাই রে!


তোরে দিনমজুরি ছাইরে দিয়া,একপল শুনিতে যাইতাম
আমি মাঠের ফসল বেচে পার্টির চাঁদা দিইতাম
দিনের পর দিন কারখানায় ঘাম ঝরাইতাম
আবার সেই ঘামের ঐ গন্ধে মিছিলে হাঁটিতাম!


আজ এই অনাহারে জল পেটে কাটাই কেমনে?
জিতিয়ে দিলাম,এখন বলিস ঘুস কোথায় রে!
চাঁদহীন রাতে মিটমিটানো তারারা সাথে রয়
গদি ছাড়া নেতা কাউকে চেনে না মহাশয়!


তোর শ্রীমুখে উন্নয়নের কথা আর তো শুনি না
এখন পাড়ায় পাড়ায় আর কেউ খোঁজ নেয় না
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শোনার জন্য আর খবর অন করি না
কেউ আর খরা মাঠের আলপথেতে পা বাড়ায় না!


এখন শিক্ষা স্বাস্থ্য জাহান্নামে,বেকার ঘরে ঘরে
আমি গামছা কাঁধে দীর্ঘশ্বাসে ভালো আছি রে
চাঁদহীন রাতে মিটমিটানো তারারা সাথে রয়
গদি ছাড়া নেতা কাউকে চেনে না মহাশয়!


(বিঃদ্রঃ-"অপরাধী" গানের অনুকরণে।)