ভাববে,যখন এতদিনের বন্ধুত্ব
কেউ না কেউ নিশ্চয়ই হেল্প করবে।
এত সময় কাটালে আর হেল্প করবে না,
তাই আবার হয় নাকি?
ফোন করবে
দেখবে অর্ধেকজন ফোন ধরলোই না।
দু'একজন ব‍্যস্ততার অযুহাত দেখিয়ে
পরে ফোন করবে বলবে
কিন্তু তাদের সেই পর আর কোনোদিনই হবে না।
কয়েকজন দু'চার মিনিট কথা বলে
কথা পাল্টে এড়িয়ে যাবে।
পথেঘাটে দু'চারজনকে অবশ্যই পাবে
যারা তোমায় সহানুভূতি শোনাবে
বেশ রসিয়ে রসিয়েই,
কিন্তু সাহায্য চাইলেই দেখবে কোনো এক
দূরসম্পর্কের শালীর শরীরখারাপের গল্প পাড়বে।
আসলে এরা সব নিজের নিজের স্বামী-স্ত্রী
আর সুখ নিয়েই ব‍্যস্ত এখন।


শেষে মনে পড়বে কোনো এক বল্টুর কথা,
দেখবে একটা সঙ্গী পেয়ে গেছো।
দিয়ে একটা বিঁড়ি ধরাবে
কিন্তু খেতে ইচ্ছা করবে না,
ধরিয়েই ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
বাড়িতে এসে খেতে চাইবে মায়ের কাছে,
মা জিজ্ঞেস করবে,কীরে কিছু হল?
কিছু উত্তর দেবে না।
ভাতের খাবল মুখে তুলতে যাবে
তখন মা বলে উঠবে,
আর কদিন বাপের টাকায় খাবি বাবা?
বিরক্ত হয়ে খাবারের থালা উল্টে দিয়ে
রেগেমেগে বেরিয়ে পড়বে,হাতটাও না ধুয়ে,
সোজা বল্টুর কাছে।


অনেক রাতে টলতে টলতে বাড়ি ফিরবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই
প‍্যান্টের পকেট হাতড়াবে বিঁড়ির খোঁজে,বিঁড়ি নেই,
মানিব‍্যাগ খুলে দেখবে ফাঁকা।
ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আবার শুয়ে পড়বে,
বালিশে মুখ গুঁজে, উপুড় হয়ে।
একটা হাতে বালিশটাকে খামচে ধরবে
আর অন্য হাতে বিছানায় কিল মারবে দুমদুম করে
পুরো শরীর কাঁপতে থাকবে
আর তুমি কাঁদতে থাকবে।


চৌদ্দ থেকে চব্বিশ
এই দশবছর বন্ধুদেরকে মহাপুরুষ ভাবতাম,
তাদের কথাগুলোকে মনে হতো বেদবাক‍্য,
বেহাল্লাই করাটাকে স্বর্গীয় সুখ মনে হতো যেন।
মা-বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের তখন মনে হতো শত্রু!
আজ বুঝি,বন্ধুরা ছিল জাতে মাতাল তালে ঠিক।।