তমলুক
                                  মুখোশ
রূপনারায়ণের তীরে,
তমাল বনের ধারে,
তাম্রলিপ্ত নামে,
বন্দর ছিল এক কালে।
তমলুক একটি পীঠস্থান,
দেবী বর্গভীমা বিরাজমান।
আছেন অধিষ্ঠাত্রী দেবী,
আশিস পায় তমলুকবাসী।
তাম্রধ্বজ রাজার শাসন,
স্মৃতি চিহ্ন করে বহন ;
চুন সুড়কি ইটের গাথুঁনি
ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ী।
কালের অমোঘ নিয়মে
সময়ও পরিবর্তনে উৎসুক,
তাম্রলিপ্ত নামটি ক্রমে ক্রমে
বিলীন হয়ে হল তমলুক।
এই শহরে জন্ম আমার
গর্বে বুক ভরে,
বিপ্লবীদের আঁতুড় ঘর
'তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার' গড়ে।
কত শাসন,কত শোষণ,
উঠে গেল রাজতন্ত্র;
দেশ পেল স্বাধীনতা,
ফিরে এলো গণতন্ত্র।
ইংরেজদের অত্যাচারে
প্রাণে মরল কত বাঙালি,
তমলুক আদালত দখলের লড়াইয়ে
গুলি খেলো 'গান্ধী বুড়ি'।
তমলুক বাসিন্দাদের বহুদিনের আবেগ
সরকারের দরবারেতে গেল,
তমলুক নামটির স্থলে তাম্রলিপ্ত নামটি
অবশেষে সরকারি সীলমোহর পেল।
ছোটবেলার শহুরে জীবন
হয়েছে কত পরিবর্তন!
স্মৃতি রোমান্থনে বোঝা যায়
বর্তমানে তমলুকের কত উন্নয়ন।।