পাষাণ মানব কাঁদছো কেন,চোখটা কেন ভিজে?
মানুষ তোমায় ইতর বলেছে,স্রষ্টা তোমার নিজে।
দম্ভে তোমার চোখটা কভূ,আর নামে না নিচে,
মানুষ হয়ে ঘুরছো তুমি,মানুষ মারার পিছে।
সরল ভাবনা ভাবতে খোদা, মগজ দিলো তোমায়,
মগজটাকে ডুবিয়ে দিলে,মানুষ মারার বোমায়।


প্রশ্ন জাগে মানুষ তোমার, বিবেক গেল কই?
বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল,আসছে দেখ ওই!


পাষাণ হবার এই শিক্ষা,শেখালো তোমায় কিসে?
মরছো যে আজ মশার মতোন,নিজের দেওয়া বিষে।
চিড়িয়াখানার জীবের মতো, বন্দী তুমি আজ,
মানুষ তোমার বিবেক কোথায়, কোথায় তোমার লাজ?
চাপড়াও আজ কপাল কেন,মরো কেন আফসোসে?
পৃথিবীটা আজ মৃত্যুপূরী,শুধুই তোমার দোষে।
শুধাও তাকে,তোমার পাপের হিসাব যিনি রাখে,
ইবলিশ আজ তোমায় দেখে,লজ্জায় মুখ ঢাকে।
সৃষ্টিকূলের আর কোন জীব, স্ব-জাতীকে মারে?
গোটা পৃথিবী হয়েছে ভারি,তোমার পাপের ভারে।


কৃতকর্মের হিসেব হবে, ভূলে গেছ নিশ্চয়ই।
বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল, আসছে দেখ ওই!


অহংকারে শীরটা তোমার, হয়নি কভূ নিচু,
আজকে তুমি ভীষণ নিরব,মৃত্যু শমন পিছু।
বিষিয়ে দিলে সৃষ্টিকূলের, শান্ত জীবনটাকে,
খেয়াল আছে কি বিধাতা তোমার, পাপের হিসাব রাখে?
সবুজ জাহান জনম জনম,ভরেছো তুমি পাপে,
মৃত্যু ভয়ে আজকে তোমার,হৃদয় কেন কাপে?
আঙুল তুলে বলবে দোষী, সকল সৃষ্টিকূল,
শুনছো মানুষ হও হুশিয়ার, করছো বিরাট ভূল।


মানুষ তোমার পরিণতি, দেখতে চেয়ে রই,
বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল, আসছে দেখ ওই!


নীলচে আকাশ কালো মেঘে আজ,ওই যে গেছে ছেয়ে,
বিশ্বমাঝে মানব পতন, আসছে বুঝি ধেয়ে।
পালিয়ে তুমি পার পাবে না,খোদার গজব থেকে,
হয়নি কেন শিক্ষা তোমার, পূর্বপুরুষ দেখে।
মানুষ তোমার পাপের বোঝা,হয় কি অনুভব?
তোমায় দেখে হাসছে দেখ,সৃষ্টিকূলের সব।


ডুবছো তুমি ঘোর আধারে, সুবহে সাদিক কই?
বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল, আসছে দেখ ওই।