ষড়ঋতু চক্রাকারে দাম্ভিক প্রত্যয়
লয়ে মনোবেঞ্জনাকর সুষমার
সুরঞ্জিত পুলোকে দোলায়
পিয়াসী বাসনার অভিলাষ।


গ্রীষ্ম উষ্ণতার শুষ্ক ঢালা নিয়ে হৃদয়-
তন্ত্রীর দ্বারপ্রান্তে বেণু বাজায় চৈত্রের
খরতপ্ত প্রাঞ্জলা প্রবল আবেগ!


অবচেতনে হৃদয়-কুসুম চমকিত
সুর লহরীরতে প্রকৃতিরাজি কে
বরণ-স্মরণ করতে সেতারের
মূর্ছনায় ডুবে যায়, সাঁতার কাটে!


আকাশের বুক কাঁপে থরথর মধ্য-
দুপুরে
নীলাভ চাকচিক্যে পিপাসায় তৃষ্ণার্ত
নয়ন মেলে!


মন-কানন প্রখর রোদে-তাপে দগ্ধ-
বিগলিত, অসার দেহে কাতর হয়
দীঘির জলের আহব্বানে।


চৈত্রের খর তাপদাহে শাখের আগায়
মাথায় জীর্ণ শীর্ণ পাতার বাহার
করুণ আকুতির মন্থর ধ্বনি তুলে।


বাংলা বর্ষের সমাপনী চৈত্র মাসের
কাব্য কথায় রয়েছে বিধিবদ্ধ নানান
উৎসব, পূজা-পার্বণের নিয়ম নীতি।


চৈত্রের সমাপনী দিনটি চৈত্র সংক্রান্তির
মহা মেলায় বিরহ-আনন্দে  পুণ্যস্নান
করে হৃদয়ের সকরুণ চাহনিতে।


চৈত্র সংক্রান্তির আবহে মনলোকে
বিরাজ করে ঋতুরাজ বসন্তের
বিদায়ী ব্যথা মেশানো বিরহ বিধুর লগ্ন।