রুপ লাবণ্য আমায় মুগ্ধ করে।
একটিবার কিংবা দুটিবার নয়, বারেবারে।
ততবারই আমি তার প্রেমে পড়ি;
সে কৈশোর পার করা রূপসী কন্যার
যৌবন থেকেও কম কিসে?


সে আমাকে ভালবাসতে শেখায়।
বুকের ভেতর যে কঠিন ব্যাথা- নরকের স্বাদ;
সব ভুলিয়ে আমায় বাঁচতে শেখায়।
বাতাস, ফুল, অরণ্য, কাঁটাতার,
ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে শেখায়।
আকাশের কান্নায় জুবুথুবু হয়ে ভিজতে শেখায়;
গভীর রাতে পিচঢালা কংক্রিটের
রাস্তায় মুক্ত বাতাসে নিঃস্বাস নিতে শেখায়;
শেখায় নীলাভ মেঘের ভেলায় ছবি আঁকতে।


আমিতো যাযাবর নই। তবুও-
তার প্রেমে আমি মুগ্ধ হই, মাতাল হই।
সন্ধ্যার নরম মূহুর্তে কিঞ্চিৎ আনমনে রই।
গভীর রাতের অন্ধকারে নক্ষত্রের সাথে কথা কই।


ভোরের রোদ্রের আলোয় সে মলিন হয়,
তার প্রতি আমার এ বিলীন বিশ্বাস-
অন্তরালে জমা করে মনেতে ভয়।
একদিন এ প্রকৃতির নারী ছিঁড়ে
যেতে হবে দূর; হতে হবে চিরতরে ক্ষয়।
কেউ তো আর এ পৃথিবীতে অবিনশ্বর নয়...