স্বপ্নের জ্বলন্ত কন্যার পিছুপিছু  অক্লান্তভাবে দৌড়ে গিয়ে আমার
চোখ রাতারাতি ফিরে আসে!


বাতাসের দীর্ঘবিলাপে তোমার কন্ঠ যেন মিলিয়ে যায়, নীল হ্রদের শোক পাথরে।


তুমি ভেবে ছুঁতে যাই যাকে, সেই অদৃশ্য শিখার মতো মিলিয়ে যায়, হালকা কুয়াশার ভাসমান জলাভূমিতে।


দীর্ঘায়িত হয় প্রতীক্ষা, তুমি হও রূপোর বীণা।
সেই বীণাতে সুরের ছন্দ তুলে,
ঘুমাও তুমি , তোমার রাজ্যের প্রশান্তি নিয়ে।
ছন্দময় ও নিস্তব্ধ শ্বাসের ওঠানামায়
আমি একটি কবিতা লিখি তোমার জন্য।
প্রেম আমার প্রাণ বোঝে, তবুও সখা মন বোঝে না!


ঘুমিয়ে তুমি হাসো , সে হাসিতে
পলাতক জল উপচে পড়ে আমার চোখে।
অসীম কোমলতায় দেখি ঘুমন্ত মানুষের
ছদ্মবেশী আলোর রেখা।


তারপর পাথরের মতো তার গভীর বুকে ঘুমিয়ে পড়ি ;  হঠাৎ জেগে উঠে উল্লাস নিয়ে চিৎকার করে বলি: "
আমি যাকে ভালবাসি সে এখনও বেঁচে আছে!


তুমি বেঁচে রও প্রিয়, প্রাণ না বোঝ, মন না বোঝ তবুও বেঁচে থাকো অনন্তকাল।


তোমার শ্বাস হয়ে ওঠুক ফুলের নিঃশ্বাস,
তোমার কণ্ঠ হোক ময়ূরের পেখমের ন্যায় মোলায়েম আর সুন্দর,
গোলাপের রঙের মত হোক তোমার রঙ,সুগন্ধিতে ভরিয়ে দাও মানুষের হৃদয়। হয়ে ওঠো  তুমি, মরুভূমির পথচারীর এক আশার পৃথিবী!
হয়ে ওঠো আমার স্বপ্নলোকের শাশ্বত শব্দের সাথে এক অখন্ড ভালোবাসা।
ভালো থাকার নিরেট প্রশ্রয়ে, ভালো থাকুক  
তোমার বিশ্বাস, মন
পৃথিবী, কিংবা কপালজোড়া দৈর্ঘ্য আর প্রস্থের মাপকাঠিতে মিষ্টি প্রলোভনের হাসি!