শরৎ এর পুত্র হইলো,
পাড়া-প্রতিবেশী কহিলেন-
"এইবার শরৎ এর দুঃখ যাইবে চলে দূর দেশ"
খুশিতে হয়ে গদগদ,
পুত্রের নাম রাখিল "বসন্ত"।


২৩ বসন্ত হইলো শেষ,
       বসন্ত এখন বড় বেশ
মাথা ভরা হয়েছে কুঁকড়া কেশ
  ধন-সম্পত্তি ও কম কিসে?
   বউ যে তার জমিদার কন্যা।


বসন্ত এখন অনেক ব্যস্ত,
সব চাকরের মাথার উপরে তার হস্ত,
শরৎ তো এখনো সেই গেরস্ত
তাই তো বসন্ত দেয় না তারে খাদ্য-বস্ত।
বন্যা তে অনাহারে মরি লো শরৎ,
  বসন্ত শুনিলে সে খবর
   মুখে দিয়ে খাসির গোস্ত।


পাড়া-প্রতিবেশী কাদিয়া কহিলেন-
"এবার দিয়ে যাও বাপের মুখে অগ্নি"
ওমা! ওমনি নিচু গাঁয়ে যাইতে মানা,
হাসিয়া কহিলেন জমিদার ভগ্নি।


বেশ কিছু বছর পরে,
হঠাৎ করিয়া খবর পাই লো বসন্ত,
বাপের ভিটাতে আছে স্বর্ণ,
ছুটিয়া আসিলে সে নিচু গাঁয়ে,
কহিলেন-
আমার বাপের ভিটা, আমার গহনা,
তোমরা আবার কইরো না বাহানা।