এই মেয়ে তোর বয়স কত,
ছানা পোনা তিনটা!
ছ বছরেই স্বামী খেলি
বাজিয়ে মরণ ঘণ্টা!
হাসবি নাতো দাঁত কেলিয়ে
খুলে ফেল নাকফুলটা,
হাতে, গলায় যা আছে তোর,
খোলরে কানের দুলটা।
ছানাপোনা কররে মানুষ
স্বামীখেকো কুলটা,
বিয়ের কথা ভেবে আবার
করিস না ঐ ভুলটা।
পর পুরুষের সামনে গেলে
বেঁধে রাখিস চুলটা,
বয়স তোর পঁচিশ হলেও
ভাববি যে তার উল্টা।
চেনা চেনা মানুষগুলোর
মনটা কেমন পোংটা!
দেখবি এবার ওদের চোখে,
তুই-ই বুঝি নেংটা!
জীবন জগৎ তোর সমুখে
বাজাবে দুখের বিনটা,
মাথা উঁচিয়ে এ সমাজের
শোধ কর তুই ঋণটা।
কেমন করে শোধরাবি ঋণ
শোনরে খুলে কানটা,
ওদের হাতে হারাসনেরে
শেষমেশ তোর মানটা।
থামিস নারে ওদের কথায়
শক্ত কর তোর মনটা,
নোংরা চোখ তুই ঘুটে দিবি,
কঠিন কর তোর পণটা।
বিধবাকে ভাবে ওরা
গনিমতের মাল-টা,
আড়ে ঠাড়ে টানে শাড়ি
টানে তোর ঐ শালটা।
নরম পেলে খড়ম চাপায়
বের করবে তোর জানটা।
শিক্ষা দেরে পিশাচগুলোর
মুচরে দিয়ে কানটা।
বুঝিয়ে দেরে তুইও মানুষ
জবাব দেরে পাল্টা,
ছোঁক ছোঁকিয়ে কাছে এলে
লাল করে দে গালটা।
চড় চাপড়েও কাজ না হলে
গরম কর তোর শিকটা,
সুযোগ মত দিসরে ছ্যাঁকা
উল্টে পিছন দিকটা!