দিয়ো না নির্ঘুম রাতের শেষে মুছে ব্যথার সজল কাজলরেখা  
দিয়ো না


তারচে’ আরও অপেক্ষায় থাকো। আরও ভিজুক বালিশ আধো
ঘুমের ম্রিয়মাণ সকরুণ ভোরে- ব্যথার অশ্রুজলে। সে খবর ঠিক
পৌঁছে যাবে ইথারে ইথারে- প্রিয়তমের কাছে। তারপর শুধু পথে
হতে পারে দেরি তার- কিন্তু সে আসবেই! এসেছিলও যুগে যুগে
বেলাবেলি প্রিয়তা রমণীর কাছে।

মুছে দিলে কাজলের দাগ কি করে জানবে আর এ বিরাগ- পরে
আছে কতো মৌলিক প্রস্তর খণ্ডের মতো প্রবল দীর্ঘশ্বাস- ফুলের
কারুকার্যখচিত এক রত্তি শিথানে; ওই মলিন বোবা বালিশই শুধু
জানে, প্রেয়সীর একবিন্দু অশ্রুজলের ব্যাখ্যাতীত রসায়ন ও চির
দুর্ভেদ্য জটিলতাপূর্ণ সমীকরণ- প্রণয়ীর বিলম্বিত যাত্রার পরিণাম
ও অভিশাপ কাকে বলে!


দিয়ো না নির্ঘুম রাতের শেষে মুছে ব্যথার সজল কাজলরেখা।