তোমার পরনে নীল শাড়ি, তুমি জানো নীল শাড়িতে কতোটা সুন্দর লাগছে তোমায়? তোমার কাজল চোখে ডুব দিয়েছি আজ, তুমি হাত বাড়িয়ে তুলো আমায়, নয়তো আমি ওই কাজল চোখে ডুবে রবো, তোমার চোখের মাঝে আছে বহু সততার ধ্বনি, এ যেন ধ্বনি নয়, সে শুধু তোমার ভালোবাসার বানী। তোমার দুচোখ ভেবে আচমকা চিনচিন করে উঠবেনা কোনও গোপন প্রেমিকের মন। কিন্তু আমি দেখেছি তোমার অগোছালো লেপটে থাকা কাজল, কাজলের নিচে জমে কালি। আমি দেখেছি গালে টোল পড়া হাসি, কি অদ্ভুত দুটি চোখ, ঐ চোখে বহুবার হারিয়েছিলো আমার হৃদয়। সাদা মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে নিতো অবুঝ মন। ও চোখের বৃত্তে ছিল ভালোবাসা, মায়া ছিল, ছিল কিছু অপ্রকাশিত শব্দ। তোমার ঐ চোখে হারিয়ে ছিলাম, তুমি যেদিন দাঁড়িয়ে ছিলে। রাস্তার পাশে, আমি ছিলাম রাস্তার বিপরিতে। বিশ্বাস করবে না, কতোদিন ঐ চোখ খোঁজে ছিলাম। আজো তোমায় চেয়ে মন বসে আছে, প্রতি খোলে, আকাশ বাতাস, নীল যোজনা দাদা মেঘে। খোঁজে ছিলাম বেতার প্রহর গুনে, যে পথে রেখে ছিলে আমায় তুমি। আমার ছায়া বড্ড বেহায়া ছিল, আয়নার সামনে মুখামুখি দাঁড়িয়ে নিজেকে বহুবার প্রশ্ন বিদ্ধ করেছি। তবু যেতে চাই না ঐ মায়া ছেড়ে, কিন্তু একদিন যাবো বহুদূর
সে তাই না থাকবে ছায়া, না থাকবে আলো, না থাকবে তুমি। ভালো বাসাটা না স্রষ্টার দান যা চাইলেও পাওয়া যায়না। যা কখনো দুটি চোখের জল দিয়েও পাওয়া যায়না।


তোমার চোখ দু'টি বড্ড মায়াবী, মায়াবী তোমার হাসি টাও। যদি কখনো খুব করে চেয়ে বসি, ঐ দুটি আঁখি। যার জলে ভিজতে চাই আমার অঙ্গ, দেবে তখন বলো যদি কখনো ভুল করে চেয়ে বসি, তোমায় একটু দেখার আসায়, আসবে তখন? সবুজ ঘাসের চাদরে শুয়ে তাকা আমাকে বুকে জড়িয়ে প্রথম ভালোবাসি শব্দ টা তোমাকে বলে যতটুকু খেদেছিলাম। ঠিক ততখানি কান্না করতে, পার বেতো সে দিন।