রজনীগন্ধা যখন মাটি ফুঁড়ে,
আকাশের দিকে তাকিয়ে,
চোখ পিটপিট করে বেরিয়ে এল,
তখন ডালিম তার অভ্যর্থনার জন্য-
হাওয়ায় মাথা ঝুঁকিয়ে স্বাগত জানাল।


রজনীর ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে,
দেহ মন বিকশিত করে নিজে,
এবং বন্ধুদের সবাইকে আপ্লুত করে,
আরও মোহময়ী হয়ে উঠে,
বাতাসে ছড়িয়ে দিল তার সুবাস।


আজ যখন সে হাওয়ায় দোলে,
ডালিমের হাতে স্পর্শ করে,
বিদ্যুৎ খেলিয়ে দিয়ে,
শরীরে রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে,
তাকে পাগল করে দেয়।


রজনীগন্ধা কিন্তু মনে মনে ডালিমের
এই অসহায়তার কথা ভাবে,
আনন্দ পায় নিজের মনে,
বলে- দেখো আমি আরো বাড়ছি,
তোমায় কাছে পাব বলে।


ডালিমেরও কষ্ট হয় এই ভেবে যে,
রজনী আর বেশি দিন নেই!
ছুরির তীব্র একটি আঘাতে ছিন্নভিন্ন হবে,
সমগ্র শরীর বেদনায় পরিপূর্ণ,
শোভা পাবে কোনো বাড়ির ফুলদানিতে।


অবশেষে সেই দিনটা এসে গেল।
রজনীগন্ধায় কোপ পড়া মাত্র,
ব্যাথায় বিদীর্ণ হয়ে শেষবার ডালিমকে দেখল,
ছলছলে চোখে চিরবিদায় জানাল বন্ধুকে,
আবার অঙ্কুর হতে নতুন রজনী মাথা তুলে দাঁড়াল।