বর্তমান বছরে, করোনার সহচরে
লেখায় কবির ভাব যায় দূরে সরে, বহু দূরে।
কবির লেখায়, কবির কথায় যেন নেই আর সুর;
তাই তো কবির মন দিশেহারা হয়ে, ঘুরে বেড়ায়
এ গ্রাম, ও গ্রাম, ওই ভাবুকপুর।
.......................................................
হঠাৎ শীতল হাওয়ার স্পর্শে, শিউলি ফুলের গন্ধে
হিমেল বাতাসের শিহরণে, একালের মেশা ভালো-মন্দে।
কবির কলমে লেখার সুর জাগে, আসে লেখায় ছন্দ
গ্রীষ্মের প্রখর তাপ শেষে, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভেজা মাটি; নাকে আসে সোঁদা মাটির গন্ধ।
.................... ..................................
এবারের বছর, আর এবারের শরৎ
যেন ঠিক আর আগের মতো নেই
উৎসবের উত্তেজনা, আনন্দ,
সব মাটি; ভয় একটাই করি!
যদি শেষ হয়ে যাই?
না না শুধু এক ভয়েই থেমে নেই; আসল ভয়টা হলো করোনার সংক্রমন
দীর্ঘ সাত মাস ধরে নানা প্রচেষ্টা করেও হলো না করোনার দমন।
তাও কবি মনের আশা জাগিয়ে, দুঃখের রেশ কাটিয়ে
নতুন শুরুর প্রাতে,শরতের হাত ধরে; যাই এগিয়ে।
মানছি, পুজোতে ভিড় না হলে তেমন জমে না;
তাই তো মানুষজনের পারস্পরিক দূরত্ব,কথাবার্তাও কম হতে চায়না!
তাও পরিস্থিতি মানিয়ে, নতুন উদ্যমে কবি ভালো থাকতে চায়
শুধু নিজে নয়, সকলকেই কবি ভালো রাখতে চায়।
তাই কবি বলে - দুই গজের পারস্পরিক দূরত্ব মেনে সবাই কথা-বার্তা কমাক
মুখে পরে মাস্ক, আর প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে সবাই পুজোর দিন কাটাক।
আর যথাসম্ভব শরীরের যত্ন নিয়ে, বাজে খরচ না করে
টাকাকড়ি ব্যবহার করো সঠিক জায়গায়, প্রয়োজনে মানুষের উপকারে।
কখনো প্রয়োজনে অন্যান্যদের সাহায্য করো
প্রয়োজন হলে মঞ্চের পাশের অন্ধকারে, বৃদ্ধার প্রয়োজনে টর্চ এর লাইট হাতে ধরো।
জ্বালো আলো, চাও ভালো, নতুন উদ্যমে, শক্তির সঞ্চারে, আলো জ্বালো
আর যদি কেউ অসুস্থ থাকো বা শরীর খারাপ থাকে,
তাহলে লোকের সাথে মেশামেশি, ভিড়ে না যাওয়াই ভালো।
যদি মন করে, তো দূরত্ব মেনে, দূর হতে গ্রহণ করো উৎসবের আনন্দ
বা ডিজিটাল ডিভাইস এ পুজোর প্রতিমা দেখে খুশি থাকো;
বিচার না করে, ভালো নাকি মন্দ!
আর বলে যেতে চাই, সবাই সাবধানে থেকো,
ভালো ভাবে এই শরৎকালীন পুজো কাটাও
আর আমার কথায় যদি খারাপ লেগে থাকে, তো ক্ষমা করে দাও।
শরতের ঋতু, হিমেল পরশ, খুশিতে কাটুক তোমাদের দূর্গাপুজো উৎসব; মায়ের আরাধনা
নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখে, চালিয়ে যাও জীবনের লক্ষ্য;
আর তার জন্য করো সাধনা
সবাই ভালো থেকো, খুশিতে থেকো
আর নিজেও ভালো থেকে, অপরকেও ভালো রেখো।।