অধরাকে ভালবাসা
                       অরণ্য


পৌষের এই সন্ধ্যায় ক্লান্ত পাখি গুলো
ফিরে গেছে আপন নীরে....
সন্ধ্যার আচল ছুয়ে নেমেছে নিরবতা
নদীর মাতাল ঢেউ গুলো যেন,
প্রানহীন ,ছন্দহিন ভাবে পরে আছে
নেই আর ছুটে চলার শক্তি...
সচ্ছ জলের বুকে ভেসে আছে
চাদের অপরুপন ছবি ........।
বাসকের ঝোপের আড়ালে
ঝিঝি পোকাদের শুরু হয়েছে
বিরামহীন কথপকথন........
ঠিক এমন সময়ে বেড়ে চলেছে
আমার হৃদয়ের যত ব্যাকুলতা....!
এমন সময় কি করছ তুমি অধরা.....?
সংসারের ব্যাস্ততা শেষে এখন কি
বড় বেশি ক্লান্ত তুমি ...?
নাকি সাদা রুমালে একে চলেছ
রঙিন স্বপ্ন সুই আর সুতর বিন্যাসে...
অথবা নরম উলের চাদর জড়িয়ে
ইজি চেয়ারে বসে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছ
কোনও গল্পের বইয়ের পৃষ্টায়.....
অথবা অলস দুটি চোখ তোমার
ডুব সাতারে পারি দিচ্ছ
আমাদের কল্পনার সেই পদ্ম দিঘি.....?
যে পদ্ম দিঘিতে আমি ভেসে চলেছি
অনন্ত কাল...........
হাড়ানো ভালবাসা খুজতে খুজতে
যে অরণ্য হাড়িয়ে গেল তল থেকে অতলে...
তার কথা কি এখনও মনে পরে তোমার...?
আমার তো তোমার মত ঘর নেই
নেই সাজানো সুখের সংসার.....
আমার বলতে তো তুমিই ছিলে আমার
যে দেবীর বিগ্রহে আজও পুজো দিই
মনের মন্দিরে,আরাধনার ছলে....
অধরা....বলতে পার আমায় কষ্ট বিলাসী
তাতে আমার এতটুকু কষ্ট নেই
আর আমি বলব এটাই আমার ,
ভালবাসার অহংকার........!
হয়তো একদিন কুড়ে কুড়ে শেষ হয়ে যাবো
হাড়িয়ে যাবো নিরবে ,তবুও...
তবুও তোমার দুয়ারে কখনও আসবোনা
এক মুঠো ভালবাসা ভিক্ষে চাইতে...
কখনও বলবনা আমাকে ফিরিয়ে দাও
সেই সব দিন গুলো,
আমাকে ফিরিয়ে দাও আমার যতো নির্ঘুম রাত...
অথবা বলবনা আমায় ফিরিয়ে দাও
আমার সেই নির্মল সোনালী প্রভাত........
বলবনা শ্রাবন দাও,বলবনা রোদ্দুর দাও
বলবনা আমায় ক্লান্তি বিহিন পথ দাও
অথবা প্রচন্ড তাপদাহে আমায়
এক ফোটা জল দাও.........


অধরা ........
আমি এই ভাঙ্গা চোড়া জীবন নিয়েই
তোমাকে ভালবেসে যাবো অনন্ত কাল...
স্বার্থহিন ভাবে একা একা........



নির্জন আহমেদ অরণ্য