একটা শুদ্ধ মানুষের খোঁজে বহু যুগ ধরে চলছে তার যাত্রা,
পৃথিবীর অলিগলি পথ থেকে শহুরে যান্ত্রিক কোলাহল।
সর্বত্র তার আনাগোনা ,তীক্ষ্ণ নজর বন্দি মানুষে মানুষে!
তবুও যুগান্তরী অক্ষরে লেখা হয়নি কোন নাম,
এখনো মেলেনি সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষের খোঁজ!
তবে কি সুক্ষ স্বচ্ছ শুদ্ধ মানুষের অস্তিত্ব নেই এখানে?
নেই নামের শব্দেই কেমন যেন বিষণ্ণতা,
হতাশা ,ক্লান্তি আর এক জীবনের থেমে যাওয়ার মন্ত্র!
তার দৃষ্টি যেদিকেই যায়,দৃশ্যমান হয় ঘৃণা,
মানুষে মানুষে হানাহানি, হিংসা , অহংকার,
অশ্লীলতা,লোভ,ক্ষোভ জিতে যাওয়ার মিথ্যে নেশা!
মানুষ মানুষ কেই দেখাতে চায় দম্ভ !
কার চেয়ে কে,কি বেশি অর্জনে এগিয়ে!
অর্জনের বেলায় অর্থ ক্ষমতা মিথ্যে পরিচিতি,
এসব নিয়েই কেমন জানি ব্যস্ত সব!
সম্পর্কের বেলায় চলে বিনিময়ের আদি প্রথা ,
ভালোবাসায় চলে মুদি দোকানের খুচরো হিসেব।
তার মানুষের মধ্যে থেকে আর মানুষ খোঁজা হয়ে উঠেনি।
কোন এক সমুদ্রে ধারে ঝাপসা দৃষ্টিতে অপেক্ষমাণ।
তার বিদায়ের ক্ষন বয়ে এলো সূর্যের আলো অন্তিম হবার সাথেই।
তবুও অচেনা কোন এক আচ্ছন্ন আবছা ডাক ভেসে আসে !
কেউ ডাকছে তারে,কেউ যেনো জড়িয়ে রেখেছে অদৃশ্য মায়ায়।
যে মায়া বন্ধ করেছে সকল যাওয়ার পথ,
এ যেনো অপেক্ষার অবসান,
শুদ্ধতার নতুন প্রতিচ্ছবি অম্লান!
কে সে ? কার সে ডাক?
তার সেই বিস্ময়কর চাহনি বোধহয়,
আমিই দেখেছিলাম প্রথম।
কি নামে তারে ডাকি?
যাত্রা যেহেতু শেষ তার,
আমার ডাক যেহেতু সে শুনেছে,
তবে আমিই বোধহয় সেই মানুষ,
যাকে খুঁজেছে সে অন্তহীন,
আমিও যাকে খুজেছি অনন্ত যুগ!
আমি অরণ্য বোহেমিয়ান,
আর থেমেছে যে,
সেই সমাপ্তি!