তোমায় ছুঁতে গেলে আজকাল বড্ড ভয় পাই আমি!
তীব্র মুগ্ধতায় এগোতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে থামি।
তোমায় কাছে পাওয়া টা এখন আমার কাছে,
অমাবশ্যার চাঁদের আলোর মতো!
কিংবা ফুরিয়ে যাওয়া কেরোসিনের নিভতে থাকা
কুপি বাতির মতো।
আমি জ্বলে যাই,আবার নিভে তাকাই,
যতবার চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়,
বুঝতে পারি বুকের ভেতরে হচ্ছে ক্ষয়।
তোমার অবহেলা আমায় মানুষ করে তোলে,
আমি সভ্যতার মোড়কে নিজেকে লুকাই!
মুখোশ ছাড়িয়ে আবার মুখোশে হারাই।
আমি ভুলে যাই প্রেম,প্রণয়,আদর,আহ্লাদ,আবদার!
আমার হৃৎপিন্ডে শুরু হয় তান্ডব।
হিমালয় চূড়ার মতো এক বিশাল পাহাড়,
আমার কুড়েঘর ধ্বংস করে দেয় অনায়াসে..
আমি দু হাত দিয়ে দৃষ্টি চেপে ধরি,
নিজেকে নিজেই শান্তনা দেই,
তুলোর ইমারত বাতাসে উড়বেই,
নুনের দেয়াল জলের স্রোতে গলে যাবেই।
তবুও আঁকড়ে থাকি শেষ অস্তিত্ব আগলে রেখে।
বুঝি নিজেকে,বোঝাইও নিজেকেই!
নিঃশ্বাস বন্ধ হতে হতে হতে ফিরে আসে অক্সিজেন,
এই বেঁচে থাকা টা মৃত্যুর চাইতেও ভয়ংকর,ভয়ানক।
আমি হারাই,নিজেকে হারাই,
হাতরে অন্ধের মতো খুঁজতে থাকি স্মৃতি।
স্মৃতি রাও আজকাল আমাকে নিয়ে উপহাসে মেতে থাকে,
আমি শূণ্যতাকে আপন করে নিই অজান্তেই!
হাঁটি তোমার পায়ের ধুলো পড়া পথে একা একা,
কাঁদি তোমার বসে থেকে সময় কাটানো মাটি ঝাপটে।
আমার অনূভুতিরা কষে আঘাত করে,
আমার ইথারে,আমার আবেগে,আমার চাওয়ায়।
এগোতে গিয়ে পিছিয়ে যাই,
আমার ধরনীর সব কোলাহল থেমে যায়,
থমকে যায় ঘড়ির কাটা,
হেরে যাওয়া খেলোয়াড়ের মতো
ছিটকে পরে থাকি ঘাসের উপর,
চিৎকারে কান্না আসে,বুক ফেটে যায় আর্তনাদে,
কাঁদতে কাঁদতে হাঁটি নদীর তীর ঘেষে,
পথের পরিচিতরা শুধায় অরণ্য কেমন আছো?
আমি অভিনয়ের হাসি হেসে জবাব দেই,
এই তো ভালোই আছি অবশেষে!!!