এই যে তোর কথার ফাঁকে,কোথাও আমি থাকছি না,
ভীষণ রকম মন খারাপে,ডাকনাম ধরে ডাকছি না,
বাজার দরের হিসাব গুলো,এখন আর মিলছে না,
তোর ইশারায় হন্যে হয়ে,দিক-বিদিকে ছুটছি না!
হাজার রকম না এর ভীরে,আমায় কি তোর মনে পরে?
দিন চলে যায় নৈষধীয়,রাত পোহালে ঘুমের ঘোরে।
এই যে তোর একলা লাগে,কোলহলের জনপদে,
হাসি গুলো লুকোয় কই,প্রাণটা যখন ব্যথায় কাঁদে?
সূর্য প্রদীপ নিভে গেলেও,তাপ রয়ে যায় মনের ছাদে,
মাঠ পেরোলেই সুমুদ্দুর,পা রেখেছিস কিসের ফাঁদে?
চোখের জল কলম কালি,মন যেনো তার ক্যানভাস,
কার কথা মনে হলে তোর,আটকে আসে নিঃশ্বাস?
এই যে তোর স্বপ্ন গুলো,হারিয়ে যায় নিয়ম করে,
সব কর্ম থেমে গেলে,ক্লান্তি নিয়ে ফিরিস ঘরে?
কেমন করে বাঁচিস এখন,মৃত্যু থেকে অনেক দূরে!
কে শোনায় মাতাল গান,নানা রকম সুর বেসুরে?
বুকের ভেতর বইছে নদি,ফিরে আসা যেতো যদি,
কলা কৌশল রপ্ত করে,থেকে যেতিস শেষ অবধি।
ভালোবাসার তপ্তপোষে,কঠিন বরফ যেতো গলে,
কাকে খুঁজিস এখন তুই, মুঠোফোনের মিসকলে?
কে তোকে আকাশ দেখায়,ছোট্ট বেলার গল্প বলে?
এখন তুই মাথা রাখিস,বিষন্নতার অকূল কোলে।
তোর হাসিতে প্রানের পরশ,মেঘ নামায় না বৃষ্টি,
কেউ তাকায় না চোখের পানে,পলকহীন দৃষ্টি।
এই যে তোর শীত আসে,নতুন আলু বাজার ছেয়ে,
তোর চৈত্র মাসের রৌদ্রস্নাত,বিষাদ ঝরে ঘাম বেয়ে।
ফ্লেক্সিলোডের দোকান ঘুরে,নৈমিত্তিক কাজের ছুঁতো,
এখন তোর আকাশ জুড়ে, রঙ ছড়ায় না হেমন্ত?
আমায় ছাড়া ভালোই আছিস,ব্যাপার টা নয় মন্দ,
তবুও তোর তরেই বেঁচে থাকা,জীবন জুড়ে ছন্দ।
এই তোর আঁচল দিয়ে,দুঃখ শোক ঢাকছি না,
ভাবনা জুড়ে যে থাকে,তাকেই মনে রাখছি না!
তোর সাজানো সংসারে,আমি আর থাকছি না,
তোকে ভালোবাসি বলে,অন্য কোথাও যাচ্ছি না।
জটিল ধাঁধায় জীবন বাঁধা,প্রেমের হিসাব শূন্য,
তোর নেশাতেই মাতাল হবো,পাগল কিংবা বন্য।
এই বুক ভরা অভিমান,তবু যুদ্ধে আমি হারছি না,
পরাজয়ের হিসেব মিছে,হাল তো ছেড়ে দিচ্ছি না!
তুই মানে বিশ্ব আমার,ভালোবাসাও তো মিথ্যে না,
না থাকাতে কি আসে যায়,ছেড়ে আমি যাচ্ছি না।