শূণ্যে দাঁড়িয়ে মেঘ ছোঁয়ার গল্প টা এক রকমের কাল্পনিক অনুভূতি।
মেঘ ছোঁয়া যায় কিনা জানিনা বৃষ্টির প্রতিটা ফোটা স্পর্শ করা যায়।
মাঝে মাঝেই আজ বৃষ্টি খুজি, নিজেকে লুকোবার প্রয়োজনে কিংবা
নিজের থেকে কিছু লুকাতে চাই বলেই হয়তো।
অনেক কিছু বুঝেও যখন চুপ করে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় থাকেনা
শেষ দীর্ঘশ্বাস যখন ছাদের কার্নিশ জুড়ে
প্রতিধ্বনিত হয় আমি খুজি অস্তিত্বের আশ্রয়।
ভালো রাখা কিংবা ভালো রাখার কাছা কাছি
কোন শব্দে মালা গেঁথে দিতে পারিনা তারে কিছু তেই।
নিয়ন আলোয় ভেসে উঠে ঝাপসা চোখে তার মুখ।
যেই মুখ জুড়ে কতো আকুতি,কত প্রয়াত প্রবীণ হাসি গুলো ফিকে....
আমার অপরাধবোধ বাড়তে থাকে,
ইচ্ছে হয় নিজের সবটা দিয়ে ম্লান হয়ে যাওয়া হাসি টা ফিরিয়ে আনি।
আমার সব টা বলতে হয়তো কিছুই নেই,
আমি আমিই....
তবুও অসীম বিশ্বাসে
শত অসম উচ্ছাসে
ভালো রাখার প্রয়াসে
প্রার্থনার শেষ অংশে
পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া আমি বিলীন হতে চাই,
অনুতাপহীন একটা সকালের প্রত্যাশায়।
ফিরিয়ে দিতে চাই নির্মল হাসি গুলো
যার নিখুঁত হত্যাকারী আমি নিজেই.....
হয়তো প্রতি রাতে কিংবা একলা হতে হতে
চোখের সামনে দেখতে চাইনা
ক্লান্ত ভেজা চোখ ঝাপসা দৃষ্টির করুন সে চাহনি...
যেই চোখে খেলা করে ক্ষমার অজস্রতা...
আমি পারিনা বোঝাতে নিজেকে,
তুমি তোমরা তোমাদের....
আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে থমকে উঠি চমকে ফিরি..
থেমে যাওয়া কোলাহলে উত্তর নিরবতায়
অপরাধি আমি নিজের কাছেই অসহায়।
অপরাধী যার কাছে তার কাছে ক্ষমা নাহি মিলে,
নিজের কাছে নিজের অপরাধ কি খেলা খেলে?