পৃথিবীতে কেউ কাউকে মনে রাখে না স্থায়ী ভাবে ,
প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনে জন্য নয় ,
বরং মানুষ মানুষ কে ভুলে যাবে প্রথাগত নিয়মেই।
যেমন করে মানুষ ধীরে ধীরে ভুলে যায়,
নিজের ফেলে আসা শৈশব ,
ভুলে যায় ছোট্ট বেলার সহপাঠী দের সবার নাম।
মৃত হয়ে যাওয়া মানুষের অভ্যাস স্বভাব ভুলে যায়,
ভুলে যায় খুব চেনা প্রিয় কোন মুখের আচরণ ।
ঠিক তেমনি খুব স্বাভাবিক স্থির ভাবে মানুষ,
মানুষ কে ভুলে যাবে নিয়তির নাম দিয়ে অকারণ।
এতো ভুলে যাবার ভীরে ও দুই ধরনের মানুষ,
মানুষকে আজীবন মনে রাখে, স্মরণ করে।
প্রথম ধাপে যারা তারা মানুষকে হিং সায় মনে রাখে,
কারোর সফলতা , কারোর জীবনের অগ্রগতি দেখতে
ভালো লাগে না , চায় না মানুষ এগোক ভালো থাকুক,
তারা প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনে না নিজের জন্যে মনে রাখে।
অন্যের সুখ আনন্দ নষ্ট করতে ওস্তাদ টাইপ মানুষ এরা।
এদের মুখের ভাষা অত্যধিক সুমধুর হলেও অন্তরের,
কিংবা ভিতরের ভাষা অশ্রাব্য হয়ে থাকে ।
সে ভাষা তারা মিষ্টি হাসির অভিনয়ে লুকায়ে রাখে,
প্রকাশ হয়ে গেলে তো অন্যের উপরে উঠার সিঁড়িতে,
প্রবেশের সুযোগ থাকবে না , আর যাত্রা ভঙ্গের কর্ম দূর !
বাকি রইলো দ্বিতীয় ধাপের নগন্য অল্প সংখ্যক মানুষ।
এরা শুধু ভালোবাসে বলেই মানুষ কে মনে রাখে,
কোন কিছু দেওয়া কিংবা পাওয়ার জন্যে নয়,
অন্যের খুশি আনন্দে নিজের ভেতর আনন্দ খুঁজে পায়,
এদের মনে রাখার কোন দায় নেই কাউকে,
তবুও জীবন ভর কিছু মানুষ কে মনে রাখে,
খেয়াল রাখে , খোঁজ রাখে , প্রার্থনায় রাখে।
তার খোঁজ কে নিলো কে নিলো না,
তার চাইতে কে বেশি সফল অসফল হলো,
এসব হিসেবের বাইরে গিয়েই তারা মানুষকে মনে রাখে।
মনে রাখে , নিয়তির বাইরে গিয়ে, নিয়মের বাইরে হেঁটে,
মনে রাখে নিজের প্রাপ্তির খাতায় শূন্যতা ধরে রেখে ।
অন্যের আনন্দ ওদের বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস ।
এদের সংখ্যা কম , খুব বেশি কম যদিও!
নিজেকে জাহির করা তাদের পছন্দ না,
নিজেকে নিজের মধ্যে জড়িয়ে রাখে .
চেনা মানুষ যেনো থাকে সব ভালোয়,
মানুষের জীবন থাকুক ভরে আলোয় !