কটা পায়ের শব্দ পেলে হিসেব করে রাখো
আমি এবং আমার মাঝে একটা বাঁশের সাঁকো
বর্ষাকালে পিছল হলেও পিছলে পড়ি কই !!!
আমি আমার ছায়ার সাথে এক বাসাতেই রই
আমি চিলেকোঠায় তো সে হেঁশেলে দেয় হানা
আমার সাথে আমার ছায়ার অবাধ - আশিয়ানা


বৃষ্টি পড়ে ... শিল ও পড়ে ... ফাটল ধরে কই
আমি এবং আমার ছায়া এক বাসাতেই রই



কোথায় যেন রেখেছিলাম !!
এটা - ওটা
আলমারি আর
ব্যাগ পত্তর
সব ঘাঁটলাম .. পাচ্ছি না


খুনসুটিটাই হারিয়ে গেছে ...
বদ অভ্যাসে
তবু ও আছি
জানান দিতে
পরশু আমি যাচ্ছি না



চল মুখোমুখি বসি ...
ফের যদি হাত ধরে টেনেছিস !!!
ঘনত্ব শানাবার আগে
নিজেদের নাব্যতা জেনেছিস ?



চুপ
চাপ
দোতারার তার বেয়ে
নেমে যাব ধীরে
আমার হিসেব নেই ... টুপটাপ ... তুই গুনে নিস শিশিরের


শন
শন
তুষার ঝড়ের দিন
ফিরে আসে জানালায়
হোক না লোকাল ট্রেন !! ... চাইলেই বহুদূর যাওয়া যায়



যে ছেলেটা রোজ ভোরের কাগজ
জানালা গলিয়ে বাড়ায়
বলল রাত্রে চোর এসেছিলো পাড়ায়


কেউ ই দেখেনি ... জানেও না কেউ
কার কি কি চুরি গেছে
আমি দেখলাম সব ঠিকঠাক ই আছে ...


মোবাইল - ঘড়ি - ঝরনা কলম কবিতার বই গুলো
অব্যবহারে যেখানে সময়
যতটা ফেলেছে ধুলো


আমার বাগানে ঠিক যতগুলো
মরা পাতা ছিল গাছে
আমি দেখলাম সব ঠিকঠাক ই আছে



ভিজবে না আর গল্পগুলো
তোমার বাড়ির লালচে রকে
শহর ছাড়ার সময় হল
ভুবন ডাঙার পর্যটকের


তোমার শহর তোমার পাড়া
ভেজ কাটলেট জাহাজ - বাড়ি
তোতলা কানুর চায়ের দোকান
বারান্দা ময় তোমার শাড়ি


ওই ছেলেটা ... উসকো - খুসকো
দেখছি না তো !!! ... বলবে লোকে
বদর বদর ... উঠলো নোঙর
ভুবন ডাঙার পর্যটকের


একলা ঘরের ফোকলা বাসা
গোছগাছ আর একটু বাকি
শুনশান ঘর অবাক চোখে
দেখছে রোজের চড়াই পাখি


ডায়েরিটা আর বালির ঘড়ি
তোমায় দিলাম জানুক লোকে
গল্পগুলো ভিজলে ভিজুক
ভুবন ডাঙার পর্যটকের ।



এবার আমার ফিরে আসার পালা
প্রশ্ন হল গিয়েছিলাম কবে ?
বোধহয় ১০০ বছর হবে !
হতেও পারে এক লহমা ...
যেমন করে
পলক পড়ে
শিশির পড়ে
প্রথম দেখা হয়
যাকগে সেটা বড় ব্যাপার নয় ...


বড় ব্যাপার ফিরে আসার পালা
যেসব জ্বালা
বুকে পুষে নিয়েছিলাম
দু - তিনটে মুখ
"দুগগা - দুগগা" ... "সাবধানে যাও "
"পৌঁছ সংবাদ দিও"
"সময় পেলে পোস্ট কার্ডে বাড়ির খবর নিও !"
খবর দেব ... বলেছিলাম
যেমন বলতে হয়
ঠিক জানতাম ...
পোস্ট কার্ড তো সহজলভ্য নয় !


তবু লিখে নিয়েছিলাম
এর ঠিকানা ওর ঠিকানা
তার ঠিকানায়
বারো আনা ভরিয়ে নিয়ে
চারটে আনা রেখেছিলাম ফাঁকা
এক চিলতে ফাঁকায় ছিল
অজ্ঞাতবাস রাখা ।


একটা সত্যি কথা বলবে আমায় !
যার বেলাতে ভেবেছিলে
আপদ গেল
ফিরবে না আর
সে যদি আজ ফেরে ??
আজ যদি তার সপ্ত ডিঙা
আবার তীরে ভেড়ে ??
ধুর ... এভাবে পায় নাকি কেউ ভয় !
অলীক ভেবে ভয় পাওয়াটা মোটেই কাজের নয় ।


প্রশ্ন ... এবার ফিরে আসার পালা
ছেড়ে আসা পথের রেখায়
পা মেলাবার জ্বালা
যেমনি হেঁটে এসেছিলে
তেমনি যেন হয়
যদিও ... সেটা ও আসল ব্যাপার নয়