একদিন ভোরে হাঁটছি!
রাস্তায় সেদিন ঘন কুয়াশা ছিল,
শীতকাল,  ভোরের শিশির ঘাসের ডগায় নৃত্য করছে।
শুধু নেই সাথে হাঁটার মানুষটি!


ফজরের নামাজের ধ্বণির আগে সেই কন্ঠস্বর প্রতিদিন শুনতে পেতাম!
জুতার ফিতা বেঁধে পরম মমতায় স্কুলে তার হাত ধরেই যেতাম।


সকালের প্রতি গ্রাসের সাথে মিশে থাকতো তার স্নেহভরা হাতের স্পর্শ।
কত কিছু সযতনে দিয়েছেন আমায় নিবিড় আবেশে,
বিমিময়ে কিছুই দিতে পারিনি; ভেবে হলাম বিমর্ষ!


শৈশবে বুকে আগলে হাসপাতালের করিডোরে তোমার উদ্বিগ্ন পদচারণা,
যৌবনে এসে পারিনি দিতে তার এতটুকু প্রতিদান!
পারিনি হতে যোগ্য সন্তান,
পিতা-মাতার সেবা যারা করতে পারেন তার মহান।


আজ তুমি পাশে নেই!
তোমার রক্তে বানানো এ জীবনটা কতকিছুই না বয়ে বেড়াচ্ছে!
শুধু তোমার অস্তিত্ব অনুভবে আছে,
প্রতি ক্ষণে, প্রতি পদক্ষেপে!


বাবা, তোমাকে অনেক কিছু বলা হয়নি,
আজ হয়তো তুমি শুনতে পাচ্ছোনা আমাকে!
বাবা, এত অকালে তোমায় হারাবো ভাবিনি,
তোমায় মনে পড়ে, ভুলিনি তোমাকে!


স্মৃতিচারণ,  সকাল ৯টা, ২৯ ডিসেম্বর,  ২০২১