শেষ কবে তোমার ঐ মায়ামাখা পাপী মুখ-খানি দেখেছি সঠিক মনে নেই;
এতটুকু তবুও মনে আছে,
সে মুখে সদা কল্লোলিত হতো নিষ্ঠুর অপবিত্র এক অতিমানবীয় হাঁসি
ঠিক যেন সাগরের বালুকাবেলায় যেমন-
ঢেউয়ের দল প্রথাগত শাশ্বত সত্যকে বুকে নিয়ে আছড়ে পড়ে;
তেমনি আমার মাঝে তোমায় ভাবি আর হাঁসি!
কতটা বিশ্বাস করেছিলাম তোমায় বিশ্বাসঘাতিনী!


শুরুতে মুঠোফোনে যখন তোমার অণুকাব্য পড়তাম,
অস্বাভাবিক এক মুগ্ধ বলয়ে আচ্ছন্ন হয়ে যেতাম!
ভাবতাম- জীবন যদি তোমার সৃষ্ট-
ঐ মরীচিকা সম উল্কার ন্যায় বিভীষিকাময় হতো!
হয়নি! তাতে যে তোমার এতটুকু অবদান নেই সেকথা কিভাবে অস্বীকার করবো!
যা কখনো পারিনি; যে সত্যকে বুকের গহীনে গুপ্ত রেখেছি;
শতবার চেষ্টায়, নিদারুণ ক্লেশের দরুনও যা উপ্ত হয়নি!
তা না হয় সকলের অগোচরেই নীরবে- নিভৃতে ;
শুধু আমার অন্তরেই ডুকরে কেঁদে উঠুক বিশ্বাসঘাতিনী!


ভাবনার স্রোতে হাবু-ডুবু খেতে খেতে বার বার তুমি ভেসে ওঠো!
তোমার সেই তিব্র দীপ্তিময় চাহনি-
আজো হয়ত অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে দেয়নি আমাকে!
তবু তোমাকে যেখানে চেয়েছিলাম সেখানেই তুমি ছিলে, আছো, থাকবে!
সরলতার সেই আবেগ টুকু তোমাকে আজো টিকিয়ে রেখেছে বেদনার রাজপ্রাসাদে-
রানীর মুকুটে সুশোভিত করেছে তোমাকে!
মনের গহীনে একটি প্রশ্ন!
এত কিছু পাওয়ার পরেও কেন করেছিলে ছলনা!
অগ্নি ঝরা এই বুকের জ্বালা কিভাবে মিটবে বলনা!
বিশ্বাস করা কি তবে পাপ? সেই পাপের শাস্তি ভোগ করে চলেছি!
'বিশ্বাসঘাতিনী'- তোমায় আমি মন থেকে ভালবেসেছি!