রাতের শেষ আঁধার মিলিয়ে যাবে ঊষার রক্তিম আবেশে,
সদ্য ফোটা হাসনাহেনার সুগন্ধ ভেসে চলেছে বাতাসে!
আলোর নাঁচনে দোলায়িত শিশিরে ভেজা পাতা,
বিনিদ্র রাত্রি শেষে ক্লান্ত, ম্রিয়মাণ- আমার কবিতার খাতা।
নবজীবনের ডাক শুনে তাই জেগে উঠেছে প্রাণ,
যৌবনের জয়গানে মুখরিত দামাল-যুবার কলতান।
যাত্রা তাই শুরু হল,চলেছি সৃষ্টির পথ ধরে,
সৃষ্টির মাঝে হারিয়ে যাব, সব মায়ার বাঁধন তুচ্ছ করে।
সামনে পর্বতসম বাঁধা,তবু শঙ্কিত নয় মন,
ধুঁকতে ধুঁকতে এগিয়ে চলা,একেই কি বলে জীবন?
বেঁচে থাকার তীব্র আশা সবার প্রাণে বাজে,
তাইতো স্বপ্নের বীজ বুনেছি , নেমে পড়েছি কাজে।
লাঙ্গলটা আমার ভাঙ্গা-চোরা,
হালের গরু দুটিও হারিয়ে ফেলেছে তেজ-
তবুও মাঠ চষে ফিরেছি,
দুচোখে ফসলের স্বপ্ন দেখেছি-
হয়তোবা সোনা রঙের পাকা ধাণ ঘরে উঠবে না আমার,
হয়তো কুঁড়িতেই বিনষ্ট হবে স্বপ্নিল রঙিন ফুলগুলো-
তবুও আমি জেগে রবো-
ঐ নষ্ট-পচাঁ ফুলগুলো থেকে ভেসে আসা গন্ধে হবো বিভোর!
ওতেই তো জীবন আছে,
হারিয়ে যাওয়া সবকিছুর মাঝে।
ওখান থেকেই জন্ম নেবে অগ্নিসেনার দল-
যাদের মাঝে থাকবেনা কোন কোন্দল!
এগিয়ে যাবে যারা সব বাঁধা ছিন্ন করে-
তাদেরই জয়গান গেয়ে যাব আমি অনন্তকাল ধরে!