মরুভূমির বুকে দাঁড়িয়ে আছে এক ধুলি-মানব,  
চোখ দুটো রৌদ্রপোড়া, জলে নয়, তীব্র জ্বালায় পূর্ণ!  
তার ছায়াটাও বালির ঢেউয়ে দিক হারায়,  
অস্তিত্ব যেন এক মরীচিকা, আসলে নেই, তবুও আছে!  

একটা কাঁটাময় গাছ, হৃদয়ের প্রতিরূপ,  
কাঁটার ভিতরে জমিয়ে রেখেছে আর্দ্রতা।  
প্রতি রাত্রে চাঁদ তাকে জিজ্ঞাসা করে,  
“তুমি কি এখনও ভালোবাসো বৃষ্টিকে?”  

বালির নিচে ঘুমিয়ে আছে এক বীজ,  
যার নাম ছিল একটি সরল শব্দ-“স্বপ্ন”!
সুপ্ত, সংরক্ষিত, আর অবিশ্বাসে ঘেরা,  
তবুও অপেক্ষা করে, এক বিন্দু জলের।  

আকাশের বুকেও জমে আছে ক্লান্তি-
মেঘেরা জানে না, কখন কাঁদবে, কখন বর্ষিত হবে।  
সূর্য যেন নিয়মের দাস, প্রতিদিন উঠে আর অস্ত যায়,
শুধু পুড়িয়ে দেয় নতুন সম্ভাবনাকে।

তবু পায়ে পায়ে হেঁটে চলে আসে,
এক নামহীন যাত্রী, তার চোখে বিপ্লব,  
তার হাতে একটা বালির ঘড়ি,  
আর হৃদয়ে নির্জনতা থেকে জন্ম নেয়া আশার গান!  

মরুভূমির বুকে তাই জন্ম নেয় শব্দহীন প্রতিবাদ,  
সব কিছুর মাঝেই থাকে কিছু বেঁচে থাকার আভাস।  
বালুর প্রতিটি কণায় লুকানো কতনা ইতিহাস,
যা কেবল পড়ে ফেলা যায়, নিঃশব্দ হৃদয়ে।  
এভাবেই যুগে যুগে বয়ে চলা ভার নিয়ে,
মরুভূমির বুকে বালি জমে আছে আহারে!

২২ এপ্রিল, ২০২৫!