মানুষ হয়ে জন্ম নিলাম,পেলাম সুন্দর ভুবন!
সম্মান,চিত্ত- মহিমান্বিত,উৎকৃষ্ট মেধা-মনন!
শিকলের বেড়ি পায়ে জড়িয়ে আস্তাবলে কভু করিনি বাস,
চারনভূমিতে কভু করিনি চারণ,গলায় পড়িনি দড়ির ফাঁস।
মানব হৃদয় বড় বিচিত্র ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়,
কখনো দিগবিজয়ী প্রতাপশালী, কখনো শূন্য হাতে পথ হাতড়ায়!
জীবনের ভেলা ভেসে চলেছে ঊষা থেকে সায়াহ্নে;নামে রাত-
কামনা-বাসনা সীমাহীন ;অস্থিরতা পাশে মলিন বদন খোঁজে প্রভাত।
নব কিশলয় যেমন প্রাণচাঞ্চল্লে ভরপুর তেমনি শৈশব- কৈশোর,
উত্তাল উন্মাদনা, শিহরিত প্রাণভোমরায় গুঞ্জরিত রাত কিবা ভোর!
যৌবনের সূর্য মাঝ গগনে; চিরভাস্বর তার প্রেরণা,
জীবনের মোড় নানা দিকে ঘুরে যাবার এক মোহনা!
কিছু কাল পর পেরোলে চল্লিশ- চিন্তার বলিরেখা ফুটে মুখে,
কিবা পেলাম কিবা হারালাম এই বয়সে ধুকে ধুকে!
স্বপ্ন যদি হয় পূরণ জীবন হবে রঙিন, পূর্ণময়, সার্থক;
ব্যর্থ হলে বিষাদ-প্রাসাদসম প্রাচীরে ঘেরা রাজ্যের কোন আগুন্তক!
পঞ্চান্ন বয়স হল;এবার বুঝি পাব ছুটি,
সামনে অফুরন্ত অবসর;বিকালের নাস্তায় গরন চা,সিঙ্গারা,পাউরুটি!
কারো কাছে আবার তখন জীবন ভীষণ বোঝা,
জীবনের হিসাব যাদের মেলেনি;অন্তরে তীব্র জ্বালা দিচ্ছে সাজা!
সততা পরিস্রম,নিবেদিত প্রাণ- জীবনে আনে নব সুষমা-
পাপের বোঝা কখনো লাঘব হয়না,এক জনমে পায়না ক্ষমা!
ভাবনা চিন্তার আড়ালে আবদ্ধ থাকার মাঝে নেই আনন্দ,আছে ক্ষরণ,
হাঁসতে কভু ভুলে যেওনা,চিরকাল থেকো প্রানবন্ত ;চাইনা অথর্ব জীবন।