ঐ দেখো ভোরের আলো ফুটেছে চৈত্রের শেষ রাত্রি শেষে;
পাখিরা মুখরিত কলকাকলিতে, নবচেতনা উঠেছে জেগে।
আটপৌরে এ জীবনের যত ক্লেশ দুহাতে সরিয়ে,
ক্ষণিকের তরে ভুলে যাই সব দুঃখ ; বেদনা যায় হারিয়ে!
হৃদয়ের তপবনে আজ নব কিশলয় মেতেছে প্রাণচ্ছাসে!
বাঙ্গালির আজ শ্রেষ্ঠ উৎসব- তাই মাতি উল্লাসে।
গগন-বিদুরিত সুরের ধারা, রমনার বটমূলে ছায়ানট,
শত শিল্পীর গুঞ্জনে মুখরিত প্রকৃতি- নানা রঙ্গে সেজেছে উদ্ভট!
মানুষের পদচারণায় কম্পিত রাজপথ মঙ্গল শোভাযাত্রায়,
সব অশান্তি,ভেদাভেদ,অপঘাত- পালাবার পথ হাতড়ায়।
পান্তা ভাত আর ইলিস মাছ ভাজা-খাই পেট পুরে,
হালখাতা উৎসব ,চঞ্চল চত্বর ,মিষ্টি মুখ-প্রতি ঘরে ঘরে।
নানা অন্যায়, শত অবিচার ভুলে –বাঙ্গালির মুখে হাঁসি!
নাগরদোলা, সার্কাস, লাঠি খেলা,বাজায় রংবেরঙের বাঁশি!
মেলায় যায়,যায় প্রার্থনালয়ে;সারা বছর কাটুক ভালো,
হাঁসি আর আনন্দে উদ্ভাসিত হোক জীবন,ছড়িয়ে যাক জ্ঞানের আলো!
বিস্তৃত এক পার্থিব ভুবনের বার্তা নিয়ে মন থাকুক আনন্দের ভিড়ে,
“হে বৈশাখ”- বছর ঘুরে প্রশান্তির নববারতা নিয়ে এসো তুমি বারংবার ফিরে!
ঘুচে যাক দুঃখ ক্লেশ; প্রাণে থাকুক হর্ষ-
মিলনের এ অপ্রতিম উৎসব , মঙ্গল কামনায় “শুভ নববর্ষ”।