প্রতিটি মৃত্যুর আগে স্বপ্ন দেখি
উড়ন্ত স্বপ্নে আমার রাশি রাশি পাকা ধান থাকে,
মৃত্যুতে জেগে উঠে শ্বশানের চন্দন কাঠ-
মিষ্টি গন্ধে খোঁজ থাকে না মৃত্যুর।


দশাননে ছাই হয়ে যায় চন্দনকাঠ
মৃতের ছাই কেড়ে নেয় প্রকৃতি,
খুব যত্নে নতুনের জন্ম দেয় প্রকৃতি
পুরাতনের প্রশ্রয়ে মাথাচাড়া দেয় নতুন।


পাকা ধানের সোনালী রঙ এ
কৃষাণের ঘামের গন্ধ থাকে;
আকুল হয়ে যায় কৃষাণী-
পিতলের গামলায়ঃ মোটা চালের ভাত,
শুকনো লংকা, আর কুমড়োরর ঘ্যাঁক
সাজিয়ে পরিবেশন করে খোলা মাঠের মাঝে
সাক্ষী হয়ে থাকে আকাশ-
কখনো বৃষ্টি হয়ে, কখনো শুকনো রোদের মিষ্টি আহবানে।


মৃত্যুরা আবার চেয়ে দেখে মাঠের সোনালী ফসল,
নদীর জলের সুপ্ত প্রবাহ;
যে জলে বাঁধ মানে না শহরের পারাপারের ব্রিজ।
মাটিতে জন্ম নেয় গাছ
বড় হতে হতে আবার কোন এক-
মানুষসৃষ্টি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হয়ে থাকে।


মৃত মানুষের অলভ্য চেতনার ক্ষোভ
সেই গাছকে স্পর্শ করতে পারে না,
হয়তো বন্দুকের গুলির চোটে-
আহত গাছ থেকে গড়িয়ে পড়ে সাদা রক্ত।
তবুও প্রতিবাদ না করে কেবল নীরব সাক্ষী হয়ে
সহস্র বছর ধরে মানুষ বাঁচার রশদ দিয়ে যায়;
প্রলয়ের নির্মম উদাহরণে-
বোদ্ধারা তর্জনী তুলে সাক্ষী চেনায় মৃতের।


(কবিতা সংকটে ভুগছি, এই কবিতায় দীর্ঘ ১১ দিনের কবিতা খড়া কেটেছে। রচনার সময় ছিল ভোর ৫ টা, হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার বাঁশির ভৈরবী রাগে কবিতাটি রচিত হয়েছে)