মাঝ রাতে দক্ষিণের দোতলার বেলকনিতে
চেয়ার পেতে বসে আছি...  
হাতের মুঠিতে সেল ফোনে বাজচ্ছে
রাগ দরবারি  রাজ আহূত সুর ।
বাইরে ইন্দ্রজ্যেতির মতো আকাশ থেকে ঝরচ্ছে জোছনা
পুকুর পাড়ের ঋদ্ধমতী ফলবৃক্ষের পত্ররা
টুপটাপ শিশির পতনে ভিজে যাচ্ছে ।
গোয়াল ঘরে কোমলমতি ছোট ছোট ছাগি
বাংলা বর্ণমালার অষ্টম স্বরবর্ণের মতো
এ এ এ শব্দে ডাকচ্ছে ।


শনিবার কঙ্কনাপুর বটতলী হাট থেকে কিনে আনা
এক শিশি ইরানি আতর ছিলো শার্টের পকেটে রাখা
সুগন্ধা আতর গন্ধ ছড়াচ্ছে
হৃদয়ের তৃতীয় আশ্রম থেকে
ফুসফুস
ফুসফুস থেকে বাম অলিন্দের অতল অবধি ।
আমার সাথে একমাত্র জেগে আছে
নীলাঞ্জন শ্যাম কন্যার মতো
আকাশের দূরবর্তী চাঁদ -
মহিয়সীর এমনি আমার মতো অবিচল
বেগার জীবন যাপন নিরন্তর  কাল ।  
এমনি আমাদের হাজার ও রাত
নিরন্তর কাল কেটে যায়
দিন আসে রাত যায়
রাত যায় দিন আসে ।  
এমনি সরলমতি মাটি ও আলোর
ধ্যান ও মনস্ক জগৎ আমাদের ।
আমরা তো ধার ধারি না ভাই
টাকশাল ও রাজার মুকুটে ।
জীবন তুচ্ছ মনে হয়
পয়সা তুচ্ছ মনে হয় ।  
অশ্রু অমুল্য বলে
বাজার দরে
দু:খের কড়ি দিয়ে কিনে আনি তাকে  
অশ্রুই একমাত্র জীবনের সঞ্চয় আমার ।
জীবনের সব সঞ্চিত অশ্রু অতি কষ্টে কোনদিন
জমে জমে বরফ হলে জমে জমে পাথর হলে
বরফের ইট পাথর দিয়ে
বরফের শীলা বরফের শান দিয়ে
শুন্যের উদ্যানে  গোধূম চক্রবালে গড়তে চাই
এক সুমহান অশ্রুর মহল  
এক শ্বেত জল পাথরের শুভ্র নির্মল মহল
চকচকে মার্বেলের মতো দূত্যিমান  প্রাসাদ
যার সুউচ্চ চূড়ায় উড়চ্ছে
অদু:খ চিহ্নিত জয় সূচক
যার সুউচ্চ চূড়ায় উড়চ্ছে হীরামন