কবিরত্ন বঙ্গরাখাল তুমি আমাদের কবি
তুমি সমকালিন তুমি অতি আধুনিক কবি
তুমি কিংবদন্তী তুমি জনরব
তুমি জনশ্রুতি তুমি কথিত  কথা ।  
লোকপরম্পরায় জনশ্রুতে শুনেছি
তুমি হাসতে হাসতে কবিতা লেখতে পারো
খুব সহজেই তুমি প্রথম আকাশের মহা শুন্যের মতো
সুবিস্তৃত কর্ণফুলির মিহি কাগজের ময়দান  
চোখের পলকেই তুমি ভরে ফেলো ছন্দ অলংকারে ।  


আজ তোমাকে দেখলাম কবি
তুমি অপরাজিতা নারীর মতো
তোমার হাসি যেন বেলফুল
নিমিষেই ঝরে পড়লো আমাদের এই গ্রাম্য
গোধূলীর ধুলো চিহ্নিত পথে  
এ গ্রামের পথ এ ধুলো এ বটেরতল
এ দীঘির জল,  ঝিনুক ও মৎসরা
কবি তোমাকে পেয়ে আজ ধন্য ।  
কবি তোমাকে পেয়ে আমরা কিছু ক্ষণ
ভুলে থাকলাম প্যালেস্টাইনের ব্যথিত ক্ষত
ভুলে থাকলাম যুদ্ধের দু:সংবাদ  
ভুলে থাকলাম হিরক রাজের নীতি পদ্য ও সংলাপ
ভুলে থাকলাম মুদ্রা সংকট
ভুলে থাকলাম অগ্নি সন্ত্রাশের তুমুল দুর্যোগ
ভুলে থাকলাম অগ্নি সন্ত্রাশের মহাবিপদ সংকেত ।  


তুমি কবি তুমি দেবতার অশ্রু  তুমি সর্পচূড়ার মণি  
তুমি জয়শ্রী তুমি জরা মৃত্যু জয়ী
তুমি সংসারের তুমি ত্রিকালের অমর সন্যাসী ।
তুমি বাউল তুমি হঁরি ওঁ  তুমি বিনয়ী
তুমি বিশুদ্ধ জ্ঞানের শিখা
তোমার কবিত্বের অভিজ্ঞান
তোমার কল্যাণ মন্ত্র  
তোমার তপাগ্নি
তোমার চোখের জোত্যি
তোমার বিবেকানন্দ মুখ
তোমার দুষ্প্রাপ্য হাসি
সুর্যতপার মতো ছড়ায় আলো
লালপেটি, বাবরি কবুতরের মতো ছড়ায় সুষমা ।
তোমার মৃণাল চুল
বসন্ত ঋতুর মতো সবুজ মঞ্জুষা
আমাদের ভুলিয়ে দিলো
এভুমির প্রাণহানি এভুমির সাজু ও রিপন হত্যার যাতনা
কবি দেবতার অশ্রু তুমি
তোমার নিকটে আজ নত হোক  
ফুল,  পাখি হত্যাকারি  বাগিচার সব পলাতক খুনি
তোমার নিকটে আজ নত হোক বাগিচার সব গুপ্ত ঘাতক  
কবি দেবতার অশ্রু তুমি
তোমার নিকটে আজ নত হোক
ঝিনুকের পেটের ভিতর বসত করা
দুরারোগ্য ব্যাধি আছে যত
কবি বোধি বৃক্ষের মতো বর্ষিয়ান
তোমার দার্শনিক দূর দৃষ্টির অঙ্গার
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিক
এ জনপদের পাপ, ছাই করে দিক
অসুর পুজিত রাজসুয়ো যজ্ঞ  
সুর্যের আলো আধির মতো
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিক
রাজসিক অসুরের সমাজ ।