ভয়
------------------------------
মনে হয় একটি জীবন বড় কিছু নয়
যদি একে আরেকটু টেনে লম্বা করে
নেয়া যেত কয়েকশ’ বছরে
কিছু একটা করা যেত তাহলে পৃথিবীময়।


যদিও জীবন ক্ষুদ্র, নাতি দীর্ঘ
বেঁচে থাকায় তবু ভয় জাগে
পথ চলা, জীবন যাপন, সবখানে
কিছু কিছু ভয় বাসা বাঁধে করোটিময়।


তাড়া করে ফেরে, পলাতক আমি
পৃথিবী চেয়েছে মাটির এ দেহ
পালাবো কোথায় জানি না, তবু ছুটে চলি
ঠেকাতে চাই, চাই এড়াতে, তার আগমন
দেহ থেকে দেহে, মন থেকে মনে
সজোরে সুতীব্র চীৎকারে অথবা অতি সঙ্গোপনে।


কোন খানেই ঠিক স্থির হওয়া হয় না
ভিতরে ভয়- না জানি কী হয়
যদিও জানি ক্ষুদ্র অতি এ জীবন,
চলে যায় একটি করে দিন, একটি করে বছর
বয়স পেরোয়, আরো কিছু এগোনো হয় মৃত্যুর পথে
মৃত্যু চলে আসে আরো সন্নিকটে, নাগালের ভিতর।


চলে যায় সময়ের ঘড়ি দেহের প্রতিটি পর্ব পেরিয়ে
নশ্বর এ দেহ বয়ে বেড়ানোর দিন শেষ হয়ে আসেেএখন প্রতীক্ষা যবনিকাপাতের,
এখন প্রতীক্ষা কাঙ্খিত ক্ষয়; যেহেতু জানি
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এ জীবন মহাকালের মাপকাঠিতে
পলকের চেয়ে বেশি কিছু নয়।


সামান্য ভ্রমণ, দুর্বা ঢাকা পথে
সামান্য ভ্রমণ, কন্টকাকীর্ণ পথে
সামন্য ভ্রমণ, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় যেন
অভিজ্ঞ হলেই ঝরে যাবে পাপড়ি
দেহটাকে তুলে নেবে, করতলে, ক্ষয়।


তবুও বাঁচার নাম
প্রেমিকের মতো জপে চলি সারাক্ষণ, রাতভ’র
জীবনটাকে প্রলম্বিত করার দুর্বিনীত প্রত্যাশায়
মনের ভিতরে জমে ওঠে বিন্দু বিন্দু হিমবাহ
থেমে যায় শোণিতের স্রোত
শুধু সচল থাকে তীব্র দাহ, সুতীব্র ভয়
কী জানি কী হয়!
জীবনকে কেন এত ভালবাসি, জানে না জীবন
জানে না সে অনাকাঙ্খিত ভয়।।


<><><><><><><>


নির্ভয়
--------------------------------------
কালি জমছে ধোঁয়া উড়ছে
খাচ্ছে ঘূর্ণীপাক
সবুজ তৃণ বিবর্ণ প্রায়  
মাঠ পুড়ে খাক খাক   (তবু)
স্বপ্ন বেঁচে থাক।


জ্বলছে আগুন প্রলয় শিখা
পুড়ে কয়লা ছাই
নিদারুণ এই দুর্বিপাকে
কোথাও আশা নাই   (শেষে)
ভয়ের পরশ পাই।


এরই মাঝে একটি ঘরে
আশার প্রদীপ হাতে
এক দুঃখী সারা সময়
স্বপ্নের ভ্রুণ পাতে  (আর)
স্বপ্ন চায় উড়াতে।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম// ০৭ জুলাই; মঙ্গলবার; ২৩ আষাঢ় ১৪২২//ঢাকার জীবন