মরুক রাজীব, অনন্ত আর শোভন, দ্বীপ বা নীল,
আমরা শুধু ছুঁড়েই যাবো চোখের দীঘিয় ঢিল।
পাওনা দেনার হয় না হিসাব আজব বাংলাদেশে
ধর্মের এই দানবগুলো মারছে মানুষ হেসে।
রাষ্ট্র তাদের কেশের অগ্র ধরতে চায় না জানি
প্রশ্ন করা এদেশে আজ আনছে ডেকে গ্লানি।
রাষ্ট্রযন্ত্রের অনেক চোঙ্গা বাজে শব্দ করে
ধর্মানুভব ব্যাথা পেলে খাঁচায় রাখব পুরে
মন্ত্রী বলেন, পোষ্ট বুঝি না, ব্লগ বুঝি না কোনো
ধর্ম যখন স্পর্শকাতর, ছুঁইছ তারে কেনো!


‘‘ঐ কথাতেও সন্তোষ নাই, কেমন করে হই?
ধর্ম আমার উপ্‌রে ওঠার শক্ত সবল মই।
বলি মুসলিম খুন করছে, বিশ্বে যেথায় যাই,
তাদের মারলে মোড়ল দেশের প্রতিক্রিয়া নাই।
জাতিসংঘ বোবা থাকে যখন মুমিন মরে
ব্লগার মরলে তারা কেন বসে নড়ে চড়ে?
একটা ব্লগার হত্যা হলে গোয়েন্দা দল আসে
উচ্চ ধাপের গোয়েন্দাগণ ত্বরিত হাওয়ায় ভাসে
রাত পেরোতেই স্বদেশ ভরে তারা জোটেন এসে
তারাই নাকি খুঁজবে দেশে ব্লগার কে মেরেছে!
কী তামাশা পেটেতে খিল, শুনে মরি হেসে
যারা মারছে তারা কি তা অস্বীকার করেছে?
বরং তারা দৃপ্ত কণ্ঠে দিচ্ছে তাদের বাণী
তার হবে কী পরিণতি; আল্লাহ্ রাসূল মানি।
তাহলে  কি ধরে নেব এসব ব্লগার যারা
মোড়ল দেশের ইশারাতে নাচেন-চলেন তারা?
এ প্রশ্নের জবাব জানার সময় সামনে দাঁড়া,
জানতে হবে, চলতে থাকবে, সময়ের কাফফারা ।
আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের যে নিকৃষ্ট দুশমন
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমার চলবে সারাক্ষণ।
আমার তলোয়ারের ঝলক চলবে ততক্ষণ
বিনাশ করার এই যে মিশন হবে সমাপন।
এরা এবং এদের সাথীর কতল সারা হলে
ধুয়ে নেব হাতের রক্ত, নীল যমুনার জলে।
সর্বশক্তি করবো প্রয়োগ ইনশাল্লাহ্‌ ,কাজে
প্রাণের মালিক আল্লাহ্ মহান, তারই অনুরাগে!’’


তাদের এসব কথার জবাব আমার কাছে নাই
তারা কি আল কায়েদা না আইএসআইএস ভাই।
কত শত মরল মানুষ লিবিয়া আইসিসে
তাদের মধ্যে অমুসলিম কম, মুমিন বেশি আছে
এই মৃত্যুর ব্যাখ্যা কী কেউ দিতে পারে সোজা
নাকি দেখতে-শুনতে তাদের চক্ষু কর্ণ বোজা?
এসব তারা দেখে না তাই যা মনে হয় বলে
এদের হাতেই মুসলমান আজ যাচ্ছে রসাতলে।
কী চমৎকার চিন্তা-ভাবনা, স্বদেশী স্বভাষী
এরাই নাকি এ প্রজন্ম, দেখে কি পায় হাসি!
যেদিন আমার মুন্ডু যাবে চাপাতির দৌলতে
সেদিনও কেউ হাসবে জেনো আল্লাহ্‌র রহমতে।
ব্যর্থ দেশের তকমা পাবে সোনার বাংলাদেশ
কিছু মানুষ আছে তখন বলবে আহা বেশ।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়...
১২ আগষ্ট ২০১৫; বুধবার; ২৮ শ্রাবণ ১৪২২; ঢাকা।