রাস্তা দিয়া হাঁটতেছিল একটা ‍কুকুর দেঁতো,
লেজের চেয়েও লম্বা জিহ্বা এমনটাই দেখাতো
মুখ থেকে তার পুঁজের লালা পড়তো সারাক্ষণ
পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলেই বিষায় কুকুর মন।
থিক থিকে ঘা ঘিন ঘিনে গা নিয়ে নগর ঘোরে
একটা নারী ছিল যে তার মুখেও খাবার ধরে
সেই খাবারে তুষ্ট কুকুর, কিন্তু ঘায়ের চোটে
শান্তি পায় না দেহ-মনে, মুখে খিস্তি ছোটে।


কুকুর হলেও গোঁয়ার বোকা দম্ভ অনেক বেশি
ল্যাজ দিয়ে সে নাড়াতে যায় মুখের মাংসপেশী।
ভেংচি কেটে মুখ খিঁচিয়ে ছুঁড়তে থাকে গাল
‘আমি কী তোর মত বাঙাল, তুলবি আমার বাল।’
চক্ষু মুদে ড্রেনের ধারে না হয় আস্তাকুঁড়ে
ল্যাজ পাকিয়ে থাকতো পড়ে রাত্রি আঁধার হলে।
মানুষ চলার শব্দ পেলেই চেঁচিয়ে উঠত ঘেউ..উ
পিটপিটে চোখ খুলে খোঁজে, আপন গেলো কেউ!


নোংরামী আর ইতরামী তার সনদধারী হলো
ঘা’র শরী্রেই ওআইসি’র নমিনেশন পেল
দুর্গন্ধে হয় নি বসা এমন আসর মাঝে
তবুও কুকুর খিস্তি খেউড় চালায় স্বভাব ঝাঁঝে।
দেহ-মুখের নোংরাটা তার এমন বেড়ে গেল
কুকুর নিধন নগর পিতার দায়িত্ব বর্তাল
মাইকিং ঘোষণা ঢ্যাঁড়া শুনল নগরবাসী
নোংরা রোগা কুকুর নিধন আজ সময়ের দাবী।


ধরবে তাকে তুলবে ট্রাকে, এমন সাহস কার!
বিশ্বাস তার হয়না প্রথম, এমন শক্ত ঘাড়।
ধরা পড়ার ভয়ে দৌড়, বাঁচতে ড্রেনেও নামে
সড়কি গাঁথা কুকুর চেঁচায় প্রিয় নারীর নামে।
অবিশ্বাসের সুরে বলেন, এমন পুরুষ কে রে!
তার শরীরে হাত তুলবে নিজের এই নগরে!
কিন্তু নগর পিতার ডাকে শান্ত্রি সেপাই পথে
নেমে পড়েন ধরতে কুকুর, তোলে নিধন রথে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৩ আগষ্ট ২০১৫; বৃহস্পতিবার; ২৮ শ্রাবণ ১৪২২; ঢাকা।