বসে ছিলাম বারান্দাতে রাত্রি গভীর হলে,
ভাবনাগুলো মনের ভিতর হল্লা করে চলে।
আকাশে চাঁদ ছিল না, খুব মেঘের চলাচল
প্রবহমান মেঘ এসে কয় পিতার কথা বল।


চাঁদ ছিলনা যে রাতে আর স্তব্ধ শ্রাবণ ছিল
মধ্যরাতের পরে যখন আযান ভেসে এলো,
একটু পরেই ঘুমের দেশে দেবে লম্বা ডুব,
ঝরিয়ে আলোক শুকতারাটা ক্লান্ত হবে খুব।
ঠিক তখনই আকাশ থেকে খসলো তারা কত
একটি তারা দেখতে ছিল আমার পিতার মত
যে বাঙ্গালীর জন্য তার এক জীবন হলো ক্ষয়
তার দু’চোখেও স্বপ্ন ছিল, দুঃস্বপ্নের ভয়।


সে বাঙ্গালী হয়নি মানুষ বলেন রবি কবি
পিতা আঁকেন চিত্রকরের মতো তাদের ছবি,
সেই ছবিটি হৃদয় থেকে মোছে খুব সহজে
আমরা বলি প্রেমের কথা মুখেতে, নয় কাজে।
বাঙ্গালীদের মানুষ হবার আরো অনেক বাঁকী
আছে তাদের বহিরাঙ্গ, অন্তরালে ফাঁকী,
এই ফাঁকীতেই দেশ চলছে আদর্শহীন রথে
অসহনশীল অস্থিরতায় রসাতলের পথে।


কোথায় যাবে কোথায় যে শেষ অজানা সীমানা
একজনই তো নেতা ছিলেন, দেখাতেন নিশানা,
তাকেও যখন আগষ্টে বা কোন শ্রাবণ রাতে
ঘুম পাড়িয়ে মহাকালের পবিত্র শয্যাতে-
আমরা করি জাগার চেষ্টা লুকিয়ে গুপ্ত ক্ষত
তাতে শুধু বিড়ম্বনাই বাড়ে রোগের মত।
ভেবে দেখো কি আছে এই যাত্রাপথের শেষে
সূর্য্য যখন ফেলবে আলো আরেক নতুন বেশে।


সব আয়োজন ফুরিয়ে যাবে মহাকালের ত্রাসে,
পিতা ফিরে আসবে না আর প্রিয় বাংলাদেশে।
ফিরে এসো নিজের কাছে, আত্মপ্রতারণা
ছেড়ে দিয়ে বাঙ্গালী হও, সেটাই প্রবর্তনা।
যদি তুমি হতে পারো মনে প্রাণে কবি
বাংলার জল নদী মাটি এসবই ধ্রুপদী
এদের সাথে মিত্রতাতে প্রাণ অফুরান পাবে
ও বাঙ্গালী ফিরবে কি ভাই নিজস্ব বৈভবে?


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
২৩ আগষ্ট ২০১৫; রবিবার; ০৮ ভাদ্র ১৪২২; ঢাকা।