একেকটা সূরযোদয় একেকটা মোড়ক খোলার মতো
চোখ খুললেই বেরিয়ে পড়বে আশ্চর্য্য কোন বস্তু।
অথচ, ঐ সূরযোদয় অথবা মোড়ক খোলার
                       সময়টাই মধুর, মোহময়
অবগুণ্ঠনমুক্ত মোড়কের জিনিসটি যেনো
শতবার পড়ে ফেলা কোন উপন্যাস অথবা চিরচেনা মুখ
                       আমার অাজন্ম-দেখা পৃথিবী,
তার নতুনত্ব কিছু নেই, আছে শুধু প্রথম অাশ্চর্য্যর
চর্বিত চর্বন, একঘেঁয়ে পুনরাবৃত্তি।


জীবন ঘষে প্রতীতী জন্মেছে, সূরযোদয়ের কোন প্রয়োজন নাই
ঘর ভরে থাকুক অসীম অন্ধকার, নিষিদ্ধ প্রেমের মতো।
অন্ধকার মনের এক চিলতে আলোর অপ্সরী সত্যকে
                                           ঠিক যেনো-
রণাঙ্গনে মাঝরাদের অপারেশনে, ওঁত পাতা সময়ে
হঠাৎ ফ-স-স করে জ্বলে ওঠা তড়িৎ গতির দেশলাই আলো।
এ যেনো শত্রুকে নিজের অস্তিত্ব জানানো-দূর করে দেয়া
নিথর অন্ধকারের কুয়াশায় ঘুমিয়ে থাকা শত্রুর
                                           রাইফেলের ঘুম
তারপর সেই অনাঙ্খিত আলোতে-অন্ধকারে কী-ভীষণ
                                            ধুন্ধুমার লড়াই!
সূরযোদয়ের তাই কোন প্রয়োজন নাই
অন্ধকার পারে নিজের সাথে নিজেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসাতে।


আঁধারের আজ বড় প্রয়োজন, নিজের আলোর
তীব্রতাকে বুঝতে-নিজের সাথে যুঝতে।।


২১.০১.১৯৯৮, ৩৫ এইচ, শ্যামলীবাগ,
রোড ২, শ্যামলী, ঢাকা//অবিনাশী সময়